কলকাতা: অনেকেই বলেন শোবিজ জীবনে গ্ল্যামার একেবারে প্রদীপের তলার অন্ধকারের মত। কথা একেবারে যে ভুল তা নয়। বাইরে থেকে এই জগতকে যতই সাজানো গোছানো চকচকে লাগে, আসলে তা ততটা নয়। ১৯৮০ -এর দশকের এমন একজন অভিনেত্রীর কথা আজ বলব, যিনি খ্য়াতির শিখরে পৌঁছেও হারিয়ে গিয়েছিলেন জীবনের অতল অন্ধকারে। 


কথা বলছি অভিনেত্রী নিশা নূরের (Nisha Noor)। ৮০ -এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন এই নায়িকা। গ্ল্য়ামারাস ও সাহসী ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য় পরিচিত ছিলেন তিনি। বালাচন্দ্রন, বিসু এবং চন্দ্রশেখরের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, রজনীকান্ত ও কমল হাসানের মতো মেগাস্টারদের সঙ্গে তাঁর অন-স্ক্রিন রোম্যান্সে সেইসময় মুগ্ধ হত দর্শক। নিশা (Nisha Noor) 'কল্যাণ আগাতিয়াল', 'আইয়ার দ্য গ্রেট', 'টিক টিক টিক'-এর মতো সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিকে।


আরও পড়ুন...


‘জাতীয় সম্পদ’ ঘোষণা করা হোক শাহরুখকে, দাবি জানালেন ‘জওয়ান জ্বরে’ কাবু শিল্পপতি


তবে তাঁর (Nisha Noor) এই সুদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। একের পর এক ছবি ফ্লপ হতে শুরু করে অভিনেত্রীর(Nisha Noor)। খ্য়াতির লাইম লাইট থেকে হঠাৎই অন্ধকার নেমে আসে তাঁর জীবনে। কাজ না পেয়ে সিনেমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নিশা (Nisha Noor)। এক প্রযোজক তাঁকে গণিকাবৃত্তি করতে বাধ্য় করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। 


উল্লেখ্য়, ১৯৬২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনমে নিশার (Nisha Noor) জন্ম, মৃত্যু মাত্র ৪৪ বছর বয়সে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল চেন্নাইয়ের তাম্বরমে। জীবনের কঠিন সময়ে পরিবার বা বন্ধুদের কাছ থেকে সেইসময় কোনও সাহায্য় ও সমর্থন পাননি অভিনেত্রী। পাশাপাশি সমস্ত টাকাও তাঁর শেষ হয়ে যায় তাঁর।


একদিন একটি দরগার বাইরে রাস্তায় ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল নিশা নূরকে (Nisha Noor)। তামিল এনজিও মুসলিম মুনেত্রা কাজগাম যখন তাঁকে উদ্ধার করে তখন নিশা নূর খুবই দুর্বল ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। পরে জানা যায় নিশা নূর এইডসে আক্রান্ত।  ২০০৭ সালে একটি হাসপাতালে মারা যান একসময়ের জনপ্রিয় গ্ল্য়ামারাস অভিনেত্রী নিশা নূর।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial