মুম্বই: একসঙ্গে বেশ কয়েকটা ছবি করেছেন তাঁরা। কোনওটাই চলেনি, ব্যতিক্রম শুধু জব উই মেট। ইমতিয়াজ আলির সুপার ডুপার হিট এই ছবি এখনও দর্শকদের নতুন করে ভালবাসায় শাহিদ-করিনাকে।


কিন্তু ঘটনা হল, শাহিদ কপূর ও করিনা কপূর- দুজনের প্রেম এক সময় বলিউডে রীতিমত আলোচিত ছিল। চুম্বনরত অবস্থায় তাঁদের এমএমএস ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। এ বছর ১০ বছর পূর্ণ করা জব উই মেট-ই সেই জুটির শেষ ছবি।

কেন তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরল তা নিয়ে বলিউডে কানাঘুষো দীর্ঘদিন। কিন্তু পরিষ্কার করে জানা যায়নি কিছু। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, করিনার মা ববিতা ও সেফ আলি খান- দুজনেরই এই ভাঙনে ভূমিকা ছিল।

জানা গিয়েছে, করিনা যেভাবে তাঁর সব ছবিতে শাহিদকে নায়ক করার জন্য জেদ ধরতেন, তাতে ববিতার অত্যন্ত আপত্তি ছিল। শাহিদকে পছন্দই করতেন না তিনি।

পাশাপাশি তাশান ছবির শ্যুটিং শুরুর পর করিনার সঙ্গে ছবির নায়ক সেফের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। করিনার নাকি বরাবরই ছোটে নবাবের প্রতি গোপন দুর্বলতা ছিল, সুপার ফ্লপ তাশানের শ্যুটিং চলাকালীন তিনি সেফের প্রেমে পড়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ শাহিদ বদলা নিতে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকেন তাঁর কিসমত কানেকশনের নায়িকা বিদ্যা বালানের সঙ্গে। কিন্তু সেফের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া করিনা শাহিদ-বিদ্যার সম্পর্ক নিয়ে নাকি মাথাই ঘামাননি।

পাশাপাশি ছিল ববিতার ক্রমাগত নাক গলানো, চেঁচামেচি, ঝগড়াঝাঁটি। একটা সময় হাল ছেড়ে দেন শাহিদ। করিনা ততদিনে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন, সেফের সঙ্গে তাঁকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে।

তবে এখন দুজনেই নিজের নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত ও সুখী। সেফকে বিয়ে করেছেন করিনা, তাঁদের ছেলের নাম তৈমুর। শাহিদ বিয়ে করেছেন রীতিমত সম্বন্ধ করে, মীরা রাজপুতকে। মিশা নামে ১ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের।

তবে এখনও শাহিদ-করিনায় কথা নেই। কেউ কোনও পার্টিতে তখনই ঢোকেন, যখন অন্যজন বেরিয়ে গিয়েছেন। কেউ কারও মুখোমুখি হতে চান না। বলিউডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় ছবির জন্ম দেওয়া এই হিট জুটির সম্পর্কের নটেগাছটি এভাবেই মুড়েছে।