মথুরা: মথুরার ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট অক্ষয় কুমারের ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ছবিটি। তাঁদের দাবি, এ ছবির এহেন নামকরণের মাধ্যমে মথুরার চরম অপমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে ছবিটির শ্যুটিং চলছে মথুরায়। ছবির শ্যুটিংয়ে আপত্তি তুলে মহাপঞ্চায়েত বসানো হয়েছে। একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর, বারসানায় হিন্দু সন্তদের মহাপঞ্চায়েতে সাধু ফুলদোল বিহারি দাস মহারাজ তাঁর ভাষণে নাকি ছবির পরিচালকের জিভ ছিঁড়ে তাঁকে এনে দিতে পারলে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, পরিচালককে ছবির নাম বদলাতে হবে, নইলে ফল ভুগবেন  তিনি। হিন্দু সন্তদের প্রস্তাব, ছবির নাম বদলে ‘টয়লেট—এ স্বচ্ছতা অভিযান’ রাখা হোক, যাতে বিষয়টি সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা ছড়ানো যায়।





ভগবান কৃষ্ণের পবিত্র ভূমিতে এমন নামের ছবির শ্যুটিং করে তার অপমান চলবে না, জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

আরেকটি সূত্রে বলা হচ্ছে, ব্রিজভূমির সন্ত ও বাসিন্দাদের ছবির একটি দৃশ্যেও আপত্তি আছে। ওই দৃশ্যে দুই পড়শি গ্রাম বারসানা ও নন্দগাঁওয়ের দুটি ছেলে, মেয়ের বিয়ে দেখানো হয়েছে।  বারসানার পঞ্চায়েতের আহ্বায়ক ঘনশ্যাম রাজ ভাট্টার  দাবি, দ্বাপর যুগ থেকেই ওই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিয়ের চল নেই। সুতরাং ছবির বিয়ের দৃশ্যটি তাঁদের ঐতিহ্যের ওপর আঘাত, তাই সেটি বাদ দিতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে ছবির নির্মাতা-পরিচালকের বিরুদ্ধেও। বারসানার আশপাশের ২২টি গ্রামের প্রধানরাও ওই দৃশ্য ছেঁটে দেওয়ার দাবিতে প্রস্তাব পাশ করেছেন। ঠিক হয়েছে, জেলা শাসকের কাছে দরবার করবেন সন্ত, প্রধান ও সম্প্রদায়ের মাথারা যাতে ছবি থেকে ওই দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়, নামও বদল করা হয়। দাবি পূরণ না হলে হাইকোর্টে যাবেন তাঁরা।

যদিও বিতর্কের কোনও ছায়া পড়েনি অক্ষয়ের জনপ্রিয়তায়। মথুরায় নিজের চপারে উঠতে যাবেন, এমন সময় তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে হেলিপ্যাডে।