কলকাতা: কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath)। ওরফে কে কে (K K)। তার চলে যাওয়ার ২ দিন পার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু মন, মাথা বা আলোচনা, কোনও জায়গা থেকেই সরানো যাচ্ছে না তাঁকে। গোটা দিন তাঁর মৃত্যু নিয়েই চর্চা হল দফায় দফায়। কখনও রাজনৈতিক, কখনও আবার আবেগ.. গোটা দিনের খবরের শিরোনামে বিরাজ করলেন তিনি আর তাঁর সুরের মায়াই। গোটা দিনে আজ নজর কাড়ল কেবল মাত্র কে কে-র খবরই। 


 


ভারসোভায় শেষকৃত্য


আজ বেলার দিকে মুম্বইয়ের ভারসোভার শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কে কে-র। উপস্থিত ছিলেন কে কে-র অজস্র অনুরাগী থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের বহু শিল্পী। ফুলে মোড়া কে কে-র দেহকে শেষবারের মতো বিদায় জানানো হয় গানে গানে। মোমবাতি হাতে অনুরাগীদের সুরে, চোখের জলে, আবেগে মিশে গেলেন কে কে। মনে রয়ে গেল তাঁর হাসি লেগে থাকা মুখ আর এক সুরেলা রূপকথা। কে কে যত্নে রয়ে গেলেন হাজার হাজার মানুষের মনের মণিকোঠায়। 


 


কে কে-র মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি সৌমিত্র-র


সঙ্গীতশিল্পী কেকে'র মৃ্ত্যুতে এবার অমিত শাহকে চিঠি সৌমিত্র খাঁ-র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এদিন চিঠিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মতামত জানান লোকসভার সাংসদ। সেই চিঠিতে ছিল নজরুল মঞ্চের এয়ার কন্ডিশন কাজ না করা থেকে শুরু করে কেকে-কে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কে কে-র মৃত্যুতে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি তুললেন সৌমিত্র খাঁ। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি বিজেপি সাংসদের। ৬ দফা প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। আর সেই চিঠির কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন সৌমিত্র।


 


কে কে-র মৃত্যু থেকে শিক্ষা?


কে কে-র মৃত্যু থেকে শিক্ষা নিল কলকাতা? কলেজ-ফেস্ট নিয়ে সতর্ক হল সরকার। ‘কলেজের কনসার্টে কী ধরনের পরিকাঠামো, জানাতে হবে জানাতে হবে শিক্ষা দফতরকে’, নজরুল মঞ্চে বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। আজ ব্রাত্য বসু বলেন, 'এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত ও বেদনাদায়ক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিশ্ব বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটা ডায়লগ ওপেন করে আমরা আলোচনা করার কথা ভাবতে পারি। কী কী প্রতিষেধক তাঁরা নিয়েছেন, জানাতে হবে সরকারকে। আমরা কথা বলে দেখব।'


 


কে কে-র হোটেলের ঘর থেকে ১০টি ওষুধ


কেকে-র হোটেলের রুম থেকে মিলল গ্যাসট্রিক ও লিভারের ওষুধ। ১০টি ওষুধ পাওয়া গেলেও মেলেনি কোনও প্রেসক্রিপশন, খবর পুলিশ সূত্রে। আজ কে কে-র হোটেলের ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন ওষুধ। কে কে-র পরিবার সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, হজমের সমস্যা মনে করে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেতেন কে কে। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেতেন কে কে। ১০টি ওষুধ পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি কোনও প্রেসক্রিপশন, জানানো হয় পুলিশের তরফে। ‘৩১ মে-র রাতে এই হোটেলের ঘরেই ঢুকে পড়ে যান কে কে। 


 


আরও পড়ুন: KK Demise: সুরলোকে বিলীন কে কে, শেষ সফরের ঘটনাবলি এক নজরে


 


'কলকাতার প্রশাসন কে কে’কে হত্যা করেছে'


'পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কে কে-কে হত্যা করেছে এবং নজরুল মঞ্চের বিশৃঙ্খলাকে ঢাকার চেষ্টা করেছে গান স্যালুট দিয়ে। আড়াই হাজার মানুষ যে প্রেক্ষাগৃহে ধরে, সেখানে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এয়ার কন্ডিশান কাজ করেনি। কে কে মারাত্মকভাবে ঘামছিলেন এবং ৪ বার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। ছিল না কোনও প্যারামেডিসিনের ব্যবস্থাও। কোনও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। হেলায় হারানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই ঘটনার একটা সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। এবং সেই পর্যন্ত বলিউডের উচিত বাংলায় পারফর্ম করার জন্য যাওয়াকে বয়কট করা।' ভয়ঙ্কর অভিযোগ। আর এই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় যিনি লিখছেন, তিনি প্রয়াত প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা ওম পুরীর স্ত্রী নন্দিতা পুরী। আজ সোশ্যাল মিডিয়ার লম্বা পোস্টে ইংরাজিতে এই কথাগুলোই লিখেছেন তিনি। কিন্তু এরপর 'এডিট' বলে জুড়েছেন আরও একটি অংশ। সেখানে লেখা, 'আমি বুঝতে পারছি, মানুষের বোঝার কিছু ভুল হয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার মানুষকে দোষী সাব্য়স্ত করতে চাইনি বা তাঁদের ছোট দেখাতেও চাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল সরকার ও ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলা।'


 


ফের নন্দন বিতর্ক!


একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে দুটো ছবি। একটি রাজ চক্রবর্তীর। আরেকটি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। একটি নন্দনে শো টাইম পেলেও, অপরটি কেন পেল না? প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব পরিচালক সৃজিত। অনীক দত্ত’র ‘অপরাজিত’র পর এবার সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'X=প্রেম'। ফের নন্দনে শো-টাইম না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক! ফেসবুকে এই নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সৃজিত! নন্দনে, রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘হাবজি গাবজি’ জায়গা পেলেও, কেন তাঁর ছবি ‘ 'X=প্রেম' জায়গা পেল না? এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক। শুক্রবার একই সঙ্গে মুক্তি 'হাবজি গাবজি' ও 'X=প্রেম'। ফেসবুকে সৃজিত লিখেছেন, 'দুটো ছবি একইদিনে মুক্তি পাচ্ছে। দুটো ছবিই নন্দনে দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেখানে একটি ছবি প্রদর্শনের অনুমতি মিললেও, বাদ পড়ল অন্যটি। স্বচ্ছভাবে বিষয়টিকে দেখলে, দুটি ছবিরই জায়গা পাওয়া উচিত ছিল, নয়তো কোনটিই নয়।'