কলকাতা:  অক্ষয় কুমার অভিনীত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত 'সম্রাট পৃথ্বীরাজ' ছবি মুক্তির পর থেকেই হোঁচট খেয়েছে বক্স অফিসে। বিপুল প্রচার সত্ত্বেও বিশেষ লাভ করে উঠতে পারেনি এই ছবি। ৩ জুন, গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। গত ৪ দিনে মোট কত টাকার ব্যবসা করতে পারল 'সম্রাট পৃথ্বীরাজ'? গ্রেফতার রোদ্দুর রায়। তাঁর গ্রেফতারিতে কী ভাবছে বিনোদন জগৎ? দিনভর বিনোদন দুনিয়ায় নজর কাড়ল কোন কোন খবর? দেখে নিন বিনোদনের সারাদিন।


 


পঞ্চম দিনেও মুখ থুবড়ে পড়ল 'সম্রাট পৃথ্বীরাজ'


ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী পরিচালিত অক্ষয় কুমার ও মানুষী চিল্লার অভিনীত ছবি প্রথম সপ্তাহান্তে মাত্র ৩৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। এরপর সোমবার সেই ব্যবসার পরিমাণ আরও কমেছে। বিভিন্ন ট্রেড অ্যানালিস্টদের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার এই ছবি ৪.৮৫ থোকে ৫.১৫ কোটি টাকার মধ্যে ব্য়বসা করতে পেরেছে। বিভিন্ন বিনোদন সংস্থার দাবি, প্রথম সোমবারে এত খারাপ ব্যবসা করেছে এই ছবি যে সপ্তাহ শেষে মেরেকেটে ৬০ কোটি ছুঁতে পারবে হয়তো। গত শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার এই ছবি যথাক্রমে ১০.৭০ কোটি, ১২.৬০ কোটি ও ১৬.১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। 


 


গ্রেফতার ইউটিউবার রোদ্দুর রায়


গ্রেফতার করা হল ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে (Youtuber Roddur Roy)। হেয়ার স্ট্রিট (Hare Street) দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার (Arrested) করা হল। গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম, গুন্ডাদমন শাখা। একাধিক থানায় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা রয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রোদ্দুর রায়ের অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। কাল রোদ্দুর রায়কে গোয়া থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে হেয়ার স্ট্রিট থানা, চিৎপুর থানা, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানা সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের নামে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। 


 


দুর্গাপুজোর মণ্ডপে কে কে!


কলকাতায় কে কে’-র জীবনের শেষ কনসার্ট। সেই মুহূর্তকে বাঙালির সবথেকে বড় উত্‍সবের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে চায়, কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজ বাগান। এবারের দুর্গাপুজোর তাদের থিম, সঙ্গীতশিল্পী কে কে! এসেছিলেন এই শহরকে আনন্দ দিতে। আর সেই শহরেই চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেছে কে কে’ র কণ্ঠ। সিটি অফ জয়ের বুক জুড়ে সঙ্গীতশিল্পীকে হারানোর যন্ত্রণা! বাঙালির সবথেকে বড় উত্‍সবে, তাই কে কে’র স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরতে চায় এই শহর! কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজ বাগানের এবারের দুর্গাপুজোর থিম, সঙ্গীতশিল্পী কে কে!


 


'কোনও হুমকি ফোন পাইনি', বললেন সলমন


হুমকি চিঠি পাওয়া সংক্রান্ত ঘটনায় মুম্বই পুলিশের কাছে বয়ান রেকর্ড করলেন সলমন খান। তিনি জানালেন, কোনওরকম হুমকি ফোন পাননি তিনি। এমনকি তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা আছে এমন কোনও সম্ভাবনার কথাও অস্বীকার করেন তিনি। সদ্য হুমকি চিঠি পেয়েছেন সলমন খান (Salman Khan) ও সেলিম খান (Selim Khan)। মুম্বই সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যে জায়গায় চিঠিটি উদ্ধার হয়েছে, রোজ প্রাতর্ভ্রমণের ফাঁকে সেখানেই বিশ্রাম নেন সেলিম। সকাল সাড়ে ৭টা ৮টার মধ্যে এই চিঠিটি উদ্ধার হয়। বান্দ্রা পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়দের নামে এফআইআর রুজু করেছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৮ সালেও হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন সলমন। সেই হুমকি চিঠির নেপথ্যে ছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। 


 


আরও পড়ুন: Rahul Rooqma: 'রাহুল-রুকমা প্রেম করছে, ওদের তাডা়তাড়ি বিয়ে দিন' অভিনেত্রীর মা-কে বলেছিলেন প্রতিবেশী!


 


'এনক্রিপ্টেড'-এর টিজার


এই গল্প দুই বোনের। দিয়া ও তানিয়া। তবে নিছক সামাজিক গল্প নয়, এই ওয়েব সিরিজ মনে করিয়ে দেয় কয়েক বছর আগে উঠে আসা ব্লু হোয়েল বা মোমো-র মত আতঙ্ককে। অজানা কোনও গেমের আতঙ্কে জড়িয়ে তছনছ হয়ে যায় অনেকগুলো জীবন। এই গল্পই বলবে 'এনক্রিপ্টেট'। এই ওয়েব সিরিজের মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন পায়েল সরকার (Paayel Sarkar) ও ঐশ্বর্য্য সেন (Aishorjyo Sen)।সদ্য মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের টিজার। সেখানে আঁচ পাওয়া গিয়েছে গল্পের। কলকাতার প্রেক্ষাপটের এই গল্প মনে করাবে ব্লু হোয়েল বা মোমো-র মত আতঙ্ককে।


 


রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইমন-জোজো


রাজনীতি থেকে শুরু করে শিল্পীমহল, রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলার একাধিক পরিচিত মুখেরা। ইতিমধ্যেই রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ, শান্তনু সেন। নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন বিজেপির অনুপম হাজরাও। আর এবার রোদ্দুর রায় বিতর্কে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী ও জোজো। এবিপি আনন্দের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) সঙ্গে। রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ইমন বলেন, 'ওঁর অশালীন ভাষার এবার সমাপ্তি হোক। ওনার কথা শুনে মনে হয় ভালো খারাপ সবকিছুতেই উনি প্রতিবাদ করেন। যাই করুন, মার্জিতভাবে করুন। আমাদের রাজ্যের যিনি মাথায় বসে রয়েছেন, তাঁকে যদি এভাবে অশালীন আক্রমণ করা হয় আমার মতে দল-মত নির্বিশেষে তার প্রতিবাদ করা উচিত। রবীন্দ্রনাথের গানের যে বিকৃতি উনি করেছেন আর তার জন্য উনি যা নাম করেছেন, ভাগ্য ভালো উনি এখনও বাংলায় আছেন।'