কলকাতা: আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো৷ দেশ থেকে বিদেশ, লক্ষ্মী আরাধনায় মাতলেন টলিউডের তারকারা। দু’জনের সংসারে নতুন সদস্য। মা হলেন নয়নতারা। জানালেন স্বামী ভিগ্নেশ শিবন। গোটা দিনে আজ নজর কাড়ল কোন কোন খবর? দেখে নিন বিনোদনের সারাদিন


ঘরে এল যমজ সন্তান, মা হলেন নয়নতারা


দুই জনের সংসারে নতুন সদস্যের আগমন। স্বামী-স্ত্রী থেকে এ বার বাবা-মা হলেন ভিগ্নেশ শিবন এবং নয়নতারা। যমজসন্তান এল তাঁদের ঘরে। এ বছর ৯ জুন সাতপাকে বাঁধা পড়েন দক্ষিণের সুপারস্টার নয়নতারা এবং ভিগ্নেশ। রবিবার যমজ সন্তানের আগমনের খবর জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন ভিগ্নেশ। তাতে লেখেন, ‘আমাদের প্রার্থনা, পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ এবং পুণ্যের সুফল পেলাম যমজ সন্তানের মাধ্যমে। আপনাদের আশীর্বাদ চাই’। ভিগ্নেশ আরও লেখেন, ‘নয়ন আর আমি মা-বাবা হলাম। যমজ সন্তানকে পেয়ে আশীর্বাদধন্য হলাম।’


অপরাজিতার কোজাগরী আরাধনার সাতকাহন


প্রতিবার বাড়ির প্রতিমাকে নিজের হাতে সাজিয়ে তোলেন তিনি। এইবছর লাল টুকটুকে শাড়িতে সেজেছেন তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীপ্রতিমা। সকাল থেকেই ভোগে, আয়োজনে ব্যস্ত তিনি। প্রতি বছরের মতোই। লক্ষ্মীপুজোর দিনে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Auddhya)-র দিনলিপির খোঁজ নিতে তাঁর বাড়ি পৌঁছল এবিপি আনন্দ। এই বছর লক্ষ্মীপুজোর পরিকল্পনা কী কী রয়েছে? ভোগ গোছাতে গোছাতে ব্যস্ত অপরাজিতা উত্তর দিলেন, 'গতকাল রাতে মাকে সাজিয়েছি। লাল শাড়ি, সোনার গয়নায় এক্কেবারে বাঙালি সাবেকি সাজ। রঙও করেছি। গত দু-বছর আমাদের বাড়িতে তেমন আড়ম্বর করে পুজো হয়নি। করোনা, আমার শ্বশুরের মৃত্যু, সব মিলিয়ে চেনা পুজোটা করতে পারিনি। এইবছর আবার খিচুড়ি, লাবড়া, পায়েস দিয়ে ভোগের আয়োজন করা হয়েছে।' 


'ভালবাসার' টানে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছলেন উর্বশী রাউতেলা


হালে বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উর্বশী রাউতেলার (Urvashi Rautela) নাম। কারণ ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) সঙ্গে তাঁর অতীতে সম্পর্কের জল্পনা এবং সেই নিয়ে ঝামেলা। যদিও সরাসরি কেউই কারুর বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তবে সেই নিয়ে জল্পনা থামার নয়। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের খেলা দেখতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গেলেন উর্বশী। অবধারিতভাবেই ফের একবার তাঁর সঙ্গে পন্থের নাম জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনগণ নিজেদের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। রবিবারই (৯ অক্টোবর) এই প্রাইভেট জেটের মধ্যে এক ছবি দিয়ে উবর্শী নিজের অস্ট্রেলিয়া পৌঁছনোর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, 'আমার হৃদয়কে অনুসরণ করেছি এবং সেটা আমায় অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে এসেছে।' এরপরেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা। পন্থও বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সারতে ভারতীয় দলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে ফের একবার উর্বশীর নাম জড়ায়। 


 


আরও পড়ুন: Pujarini Ghosh-Ena Saha: লক্ষ্মীপুজোর আলপনা দিয়ে জ্বর এসেছিল পূজারিণীর, বন্ধুদের সঙ্গে রাত জেগে কোজাগরী কাটান এনা


 


লক্ষ্মীপুজোয় কলকাতার জন্য মনখারাপ ঋতুপর্ণার


কাজের প্রয়োজনে কলকাতা ছেড়ে পাড়ি দিতে হয়েছে সিঙ্গাপুরে। কিন্তু নায়িকার মন পড়ে আছে তিলোত্তমাতেই। নিজের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি, দু জায়গারই লক্ষ্মীপুজো বহু পুরনো। বিদেশে বসে বান্ধবীর বাড়িতেই পুষ্পাঞ্জলি, নাড়ু, ফলপ্রসাদে কাটল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)-র লক্ষ্মীপুজো। এবিপি আনন্দকে ঋতুপর্ণা বলছেন, 'বিদেশে বসে কলকাতার কথা খুব মনে পড়ছে। আমার শ্বশুরবাড়ির পুজো খুব পুরনো। আমার মাও বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেন। যতই অসুস্থতা হোক, মা ঠিক সুন্দর করে পুজোর আয়োজন করে ফেলেন।' এই বছর বিদেশের বাড়িতেই পুজো কাটছে ঋতুপর্ণার। অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি আমার বাড়িতেও পুজোর আয়োজন করেছি। কিন্তু আমার খুব প্রিয় বান্ধবী পারমিতার বাড়িতে খুব বড় করে লক্ষ্মীপুজো হয়। ওখানেই অঞ্জলি দিলাম। প্রসাদ খেলাম। খুব ভালো কাটল পুজোর দিনটা।'


লক্ষ্মী আরাধনায় দেবলীনা


 নিজের নাচের স্কুল আর শ্বশুরবাড়ি, দু জায়গাতেই ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজো হয়। সকাল থেকেই ব্যস্ততা চলছে দেবলীনা কুমার (Devleena Kumar)-এর। নাচের স্কুলে তাঁর সব ছাত্রীরা মিলে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে ব্যস্ত। অন্যদিকে দেবলীনা এখন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বৌমাও। নিয়মমাফিক গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুজোয় বসতে হয় তাঁকে। দুই বাড়ির পুজো সামলাতে দেবলীনা এদিন এক্কেবারে গিন্নি। নিজের হাতে এই দিনটা সমস্ত কিছুই সামলান অভিনেত্রী। কেমন করে কাটছে দেবলীনার পুজোর দিনটা? জানতে অভিনেত্রীর নাচের স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল এবিপি আনন্দ। দেবলীনা বললেন, 'আমার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব ৫ মিনিট। পুজোর দিনে দুই বাড়ির মধ্যে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করি। গতকাল কার্নিভ্যাল শেষ করে বাড়িতে এসে পায়েস রান্না করেছি, ঠাকুর এনেছি। ঠাকুরকে শাড়ি পরিয়েছি। তারপর আবার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে প্রতিমাকে বরণ করেছি। এটাই আমার শ্বশুরবাড়ির রীতি।