কলকাতা: তিনি কি কেবল চিত্রশিল্পী, নাকি খুনিও! যিনি কর্ণ জোহরের (Karan Johar) ছবিতে কত্থকের ছন্দে হলভর্তি দর্শককে মুগ্ধ করতে পারেন, তিনি কি কোনও নৃশংস খুনি হতে পারেন? সদ্য মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ 'পিকাসো'-র ট্রেলার তুলে দিয়ে যায় এই প্রশ্নই। ক্লিক (Klikk) ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সামনেই মুক্তি পাবে রাজা চন্দ (Raja Chanda) পরিচালিত এই থ্রিলার। আর তারই মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury)। তাঁদের প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ে। কাঞ্চনজঙ্খাকে সাক্ষী রেখে। বিয়ের ৬ বছরের জন্মদিনে, বাবা-মা হওয়ার পরে প্রথমবার পাহাড়ে গেলেন টলিউডের জুটি গৌরব চক্রবর্তী (Gourav Chakraborty) ও ঋদ্ধিমা ঘোষ (Riddhima Ghosh)। সঙ্গে রইল তাঁদের একরত্তি পুত্র, ধীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি, সেই গল্পই শেয়ার করে নিলেন অভিনেত্রী। বিনোদন দুনিয়ায় আজ নজর কাড়ল কোন কোন খবর? দেখে নিন আজকের বিনোদনের সারাদিন


'মোয়ে মোয়ে' গানে রিল বানাচ্ছেন? জানেন এই সার্বিয়ান গানের আসল অর্থ?


সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং 'মোয়ে মোয়ে' (Moye Moye)। নতুন এই গানের সুরে রিল বানাতে মজেছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। সার্বিয়ার এই গানের আসল অর্থ কী? কেনোই বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডি এই গানটি? সার্বিয়ান গায়িকা 'টেয়া ডোরা' (Teya Dora)-র গাওয়া প্রায় ৩ মিনিটের গান এটি। ইউটিউবে এই গানের নাম লেখা রয়েছে Dzanum। এই গানটির একটি অংশই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই গানটিতে দেখা গিয়েছে গায়িকাকেও। এই গানটির লিরিক্স লিখেছেন, Slobodan Velkovic Coby। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই গানটির উৎস খুঁজতে অনেকেই শরনাপন্ন হয়েছেন ইউটিউবের। আর তার ফলেই.. হু হু করে বেড়েছে এই গানের ভিউ। ইতিমধ্য়েই ইউটিউবে এই গানটি দেখে ফেলেছেন ৫৭ মিলিয়ন মানুষ। সার্বিয়ান ভাষায়, এই 'মোয়ে মোয়ে'  শব্দের অর্থ হল দুঃস্বপ্ন। এই গানের চিত্রপটও সাজানো হয়েছে সেভাবেই। গোটা গানে তুলে ধরা হয়েছে ডিপ্রেশন, মনখারাপ, দুঃখ, কষ্ট ইত্যাদিকে। কিন্তু এই গানের লাইনে বলা রয়েছে... তার মধ্যেই মানুষ খুঁজে চলেছেন এমন একজনকে যে শান্তি দিতে পারে, স্বস্তি দিতে পারে। তবে এই গানের দৃশ্যপট বা সুর যতটাই মনখারাপি হোক না কেন.. সোশ্য়াল মিডিয়ায় তা ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন রিলে। আপাতত ভাইরাল এই 'মোয়ে মোয়ে'।


সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাতে একান্তে দেব, রুক্মিণী কি অন্য কোথাও?


ফের কি একসঙ্গে সফরে দেব (Dev) ও রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে.. সফরে গিয়েছেন তাঁরা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে নিলেও তা কেবল নিজেরই। সামাজিক মাধ্যমে সাধারণত সফরের ছবি একসঙ্গে শেয়ার করে নেন না টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই জুটি। তাঁদের সম্পর্কের কথা এখন টলিউডের 'ওপেন সিক্রেট'। নিজেদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরিও করেননি দেব-রুক্মিণী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও সফরের ছবি একসঙ্গে শেয়ার করে নিতে নারাজ তাঁরা দুজনেই। দিন কয়েক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন দেব। সেই ছবি দেখেই বোঝা যায়.. সফরে গিয়েছেন তিনি। তবে এই ছুটি কাটানোর ডেস্টিনেশন কোথায়... তা নিয়ে কিছুই লেখা নেই অভিনেতার ছবির ক্যাপশনে। অন্যদিকে, রুক্মিণীর ছবিতে দেখা মিলেছে সমুদ্রের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছাড়াও রুক্মিণী একটি রিল শেয়ার করে নিয়েছেন। সেখানে দেখা গেল... নীল জলরাশির ধারে বসে রয়েছেন তিনি। তবে একসঙ্গে কোনও ছবি তো নেই বটেই.. নায়ক নায়িকা যে কোথায়... সে বিষয়ে জানা নেই কারও। সদ্য নিজের নতুন ছবি 'প্রধান' -এর শ্যুটিং শেষ করেছেন দেব। আপাতত চলছে পোস্ট প্রোডাকশেনর কাজ। এর ফাঁকেই ছোট্ট ছুটি নিয়েছেন নায়ক। 


গৌরব-ঋদ্ধিমার স্বপ্নের বিবাহবার্ষিকী


তাঁদের প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ে। কাঞ্চনজঙ্খাকে সাক্ষী রেখে। বিয়ের ৬ বছরের জন্মদিনে, বাবা-মা হওয়ার পরে প্রথমবার পাহাড়ে গেলেন টলিউডের জুটি গৌরব চক্রবর্তী (Gourav Chakraborty) ও ঋদ্ধিমা ঘোষ (Riddhima Ghosh)। সঙ্গে রইল তাঁদের একরত্তি পুত্র, ধীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি, সেই গল্পই শেয়ার করে নিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একাধিক ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন ঋদ্ধিমা। সেখানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দার্জিলিংয়ের ম্যালে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গৌরব-ঋদ্ধিমা। সঙ্গে রয়েছে ধীর। একে অপরের চোখে ডুবেছেন তাঁরা। আর তার পরের ছবিটি আরও সুন্দর। দূরে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর সেই সাদা পাহাড়কে সাক্ষী রেখে, একে অপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। কোলে ছোট্ট ধীর। এই পাহাড়কেই সাক্ষী রেখে একসময়ে ঋদ্ধিমাকে প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিলেন গৌরব। সোশ্যাল মিডিয়ায় আস ঋদ্ধিমা লিখেছেন, 'প্রিয়তম বন্ধু হওয়ার ১৩ বছর। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার ৬ বছর। বাবা-মা হওয়ার আড়াই মাস। তোমার সঙ্গে জীবনের সমস্ত সফরই এক একটা সুন্দর অধ্যায়। আরও অনেক বড় হওয়া, হাসি, আনন্দ... সবকিছু বাকি রয়েছে। আমাদের ছোট্ট পরিবারের উপভোগ করার আছে আরও অনেক মুহূর্ত। শুভ বিবাহবার্ষিকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিতে ভালবাসায় ভরিয়েছেন সমস্ত বন্ধু-শুভাকাঙ্খীরা।


এবার ছবি আঁকবেন, খুনও করবেন টোটা?


তিনি কি কেবল চিত্রশিল্পী, নাকি খুনিও! যিনি কর্ণ জোহরের (Karan Johar) ছবিতে কত্থকের ছন্দে হলভর্তি দর্শককে মুগ্ধ করতে পারেন, তিনি কি কোনও নৃশংস খুনি হতে পারেন? সদ্য মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ 'পিকাসো'-র ট্রেলার তুলে দিয়ে যায় এই প্রশ্নই। ক্লিক (Klikk) ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সামনেই মুক্তি পাবে রাজা চন্দ (Raja Chanda) পরিচালিত এই থ্রিলার। আর তারই মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury)। চলতি মাসেই মুক্তি পাবে এই ওয়েব সিরিজ। এই সিরিজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন সৌরভ দাস (Sourav Das), সৃজলা গুহ (Srijla Guha), রোজা পারমিতা দে (Roza Paromita De), দেবপ্রসাদ হালদার (Debproshad Haldar), রাহেলী ও কাভ্য়া ভৌমিক ও অন্যান্যরা। থ্রিলার জুড়ে একটি গান ব্যবহার করা হয়েছে যা সিরিজটির মেজাজ বুঝিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে অ্যাকশন সিকোয়েন্সেও দেখা গিয়েছে টোটাকে। তবে কেবল অ্যাকশন নয়... পিকাসো হিসেবে পাকা হাতে ক্যানভাসে তুলির টানে ছবিও ফুটিয়ে তুলতে দেখা গেল তাঁকে। এই কাহিনী মূলত থ্রিলার। গল্পের শুরু হয় একজন সাংবাদিককে নিয়ে। তিনি তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে অদ্ভূত একটা খবর পান। পলাশ মুখোপাধ্যায় নামে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন  চিত্রশিল্পী রয়েছেন উত্তর কলকাতায়। তাঁকে সবাই পিকাসো বলে ডাকে। তিনি প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। কিন্তু দুটি প্রতিকৃতি আঁকার পরে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে তাঁর সঙ্গে। যাদের ছবি তিনি আঁকেন, রহস্যজনক ভাবে তাদের দুজনেরই অকাল মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে খবর করতে যায় ওই সাংবাদিক। এরপরে আবার ওই ঘটনার পুরনাবৃত্তি ঘটে। এই ঘটনার পিছনে কে কে রয়েছে.. সেই গল্পেরই রহস্য উদঘাটন হবে এই ওয়েব সিরিজে। 


অ্যাকাউন্টে পড়ে মাত্র ১৮ টাকা.. মরিয়া হয়ে ভুল পথে হেঁটেছিলেন বিজয় বর্মাও!


একের পর এক সাফল্য এখন বদলে দিয়েছে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ। 'গালি বয়' থেকে শুরু করে 'দাহাড়', 'লাস্ট স্টোরিজ'... বলিউড তাঁকে কেবল সাফল্য দেয়নি, খুঁজে দিয়েছে প্রেয়সীকেও। একদিকে যেমন কেরিয়ারে সাফল্য পেয়েছেন, প্রশংসিত হয়েছেন তিনি.. তেমনই প্রেমের সম্পর্কেও রয়েছেন তমন্না ভাটিয়া (Tamannaah Bhatia)-র সঙ্গে। তিনি বিজয় বর্মা (Vijay Varma)। তবে একটা সময় এমন গিয়েছে.. যখন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে ছিল মাত্র ১৮ টাকা! সম্প্রতি নিজের কেরিয়ারের কঠিন সময় নিয়ে বিভিন্ন গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন বিজয়। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে পর্যাপ্ত কাজ পেতেন না তিনি। বলিউডে কোনও খুঁটি না থাকার কারণে, নিজেকে চেনাতেও সময় লেগেছে তাঁর। একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজয় বলেন, 'এক সময়ে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৮ টাকা ছিল। সেই সময়ে শুধুমাত্র টাকার প্রয়োজনে একটা চরিত্রে রাজি হয়ে যাই। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, শুধুমাত্র টাকার জন্য কখনও অভিনয় করব না। তবে সেই সময়ের পরিস্থিতি আলাদা ছিল। ১ দিনের শ্যুটিংয়ের জন্য ৩০০০ টাকা পাচ্ছিলাম আর সেটাই ছিল আমার কাছে অনেক।' বিজয় আরও বলেন, 'চরিত্রটা ছিল একজন সাংবাদিকের। তাও আবার কথা বলতে হবে ইংরাজিতে। টাকার জন্য রাজি হলেও, কাজটি মোটেই ভাল লাগেনি আমার। কাজেই শট দিতে গিয়ে বারে বারে আটকে যাচ্ছিলাম। আমার মন অন্য কোথাও ছিল... কিছুতেই কাজটাকে ভালবেসে করতে পারছিলাম না। এরপরে, সেখান থেকে আমায় বের করে দেওয়া হয়। কাজটা পাইনি। সেইদিনই বুঝতে পারি, টাকার অভাব হলেও মন থেকে না চাইলে অভিনয়টা আমি করতে পারব না।'


আরও পড়ুন: Robi Ghosh Birthday: অভিনয় দেখে হাসিতে লুটোপুটি, বাস্তবের রবি ঘোষ কিন্তু ছিলেন রাশভারি, প্রিয় ছিল লুচি-মাংস