কলকাতা: বক্সঅফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) অভিনীত 'জওয়ান' (Jawan)। 'পাঠান' থেকে শুরু করে 'জওয়ান'... ছবি মুক্তির পরে সাংবাদিক মুখোমুখি হওয়াকেই দস্তুর করেছেন শাহরুখ খান। আজ, 'জওয়ান'-এর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে যেমন ছবির অজানা গল্প শোনালেন শাহরুখ, তেমনই মাত করে দিলেন নতুন গানের ছন্দে পা মিলিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ অবশ্যই সেরা পোস্টের জায়গায় তালিকা করে নিল সেই ভিডিও। টলিউডে আজ রক্তবীজ-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা শোনালেন সত্যম ভট্টাচার্য। চোখ রাখা যাক আজকের সোশ্যালের সেরা পোস্টগুলিতে।
শাহরুখের 'জওয়ান'-এর অজানা গল্প
'জওয়ান' (Jawan)-এর সেট থেকেই আগামী ছবির ঘোষণা! আজ, সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি 'জওয়ান'-এর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে খোদ শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) ঘোষণা করলেন 'ডাঙ্কি' (Donkey) ছবির মুক্তির দিন। 'পাঠান' (Pathaan) ও 'জওয়ান' (Jawan) ছবির জন্যই পিছিয়ে গিয়েছিল রাজকুমার হিরানীর (Raj Kumar Hirani)-র নতুন ছবির মুক্তি। তবে আজ শাহরুখ জানালেন, চলতি বছরের ক্রিসমাসেই বড়পর্দায় আসতে চলেছে 'ডাঙ্কি'। শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। তিনি নাকি রোম্যান্সের রাজা! দশকের পর দশক পেরিয়েও এখনও রমণী হৃদয় মুগ্ধ তাঁর ম্যাজিকে। তবে পর্দায় যাঁর রোম্যান্স মন কেড়ে নেয়.. নিজেই পর্দায় রোম্যান্সের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার আগে কী ভাবেন শাহরুখ? থাকে কি কোনও বিশেষ প্রস্তুতি? সদ্য 'জওয়ান' (Jawan)-এর সাংবাদি সম্মেলনে সেই কথাই বললেন শাহরুখ। নয়নতারা হোক ব দীপিকা.. কাজল, রানি... প্রত্যেক নায়িকার সঙ্গেই শাহরুখের রোম্যান্স এত সফল কী করে? আজ 'জওয়ান'-এর সাংবাদিক সম্মেলনে, সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তরে শাহরুখ বলেন, 'জওয়ান ছবিতে নয়নতারা ও দীপিকার সঙ্গে আমার রোম্যান্সের দৃশ্যের সাফল্য সম্পূর্ণ অ্যাটলির। তবে কেবল এই ছবির জন্য নয়.. কোনও দৃশ্যে রোম্যান্স থাকলে... আমি সেই চিত্রনাট্যকে বার বার পড়ি। বোঝার চেষ্টা করি.. ওই দৃশ্যে, নায়িকাকে কতটা সম্মান দেওয়া হয়েছে। ভালবাসার দৃশ্যে মহিলাদের যদি সম্মান প্রদর্শন করা যায়, তাহলে সেই দৃশ্য সফলতম হয়।' 'জওয়ান'-এ দীপিকা পাড়ুকোনের (Deepika Padukone)-এর চরিত্র বেশ অবাক করেছিল সবাইকেই। শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan)-এর মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল দীপিকাকে। কিন্তু তাঁকে যে মানাবে এই চরিত্রের জন্য, একথা প্রথম নাকি 'বেশরম রং' (Besharam Rang) ছবিটি দেখে প্রথম ভেবেছিলেন শাহরুখ! আজ 'জওয়ান' (Jawan)-এর সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা প্রকাশ্যে আনেন দীপিকা, শাহরুখ ও ছবির পরিচালক অ্যাটলি। 'পাঠান' (Pathaan) ছবিতে শাহরুখ-দীপিকার সমীকরণে মজেছিলেন দর্শক। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাটলি বলেন, 'শাহরুখ ও দীপিককে একসঙ্গে ফ্রেমে আনতে পারলে, এমনই যেন প্রেমের দৃশ্য তৈরি হয়। আলাদা করে কিছু লিখতেই হয় না।' এরপরে শাহরুখ বলেন, 'দীপিকা বন্ধুত্বের খাতিরে একটা ছোট চরিত্র ভেবে অভিনয় করতে এসেছিল, কিন্তু আমি আর অ্যাটলি ওকে দিয়ে একটা গোটা ছবিই শ্যুট করিয়ে নিয়েছি। আমি প্রথম 'বেশরম রং' গানটি দেখার পরে দীপিকাকে বলেছিলাম, 'মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবে?' ও রাজি হয়ে যায়।' সাংবাদিক সম্মেলনের পরে, মঞ্চে 'রামাইয়া ভাস্তাবাইয়া'-র তালে পাও মেলান শাহরুখ।
সত্যমের 'রক্তবীজ' সফর
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি অভিনয় করছেন মঞ্চে এবং বড়পর্দায়। তবে বাংলার দর্শক তাঁকে নায়ক হিসেবে চিনেছিলেন 'বল্লভপুরের রূপকথা'- (Ballavpurer Rupkotha)-র হাত ধরেই। আর সেই ছবিই তাঁকে সুযোগ এনে দিয়েছিল শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboproshad Mukherjee) ও নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy)-এর প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করার। সত্য়ম ভট্টাচার্য্য (Satyam Bhattacharyya)। একদিকে তিনি যেমন মুগ্ধ 'রক্তবীজ' (Roktobeej)-এ কাজ করে, তেমনই সত্যমে মুগ্ধ শিবপ্রসাদও! এবিপি লাইভকে (ABP Live)- একে অপরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন সত্যম ও শিবপ্রসাদ। 'রক্তবীজ'-এ কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সত্যম বলছেন, 'উইন্ডোজের মতো প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে প্রত্যেকেরই কাজ করার ইচ্ছা থাকে। অভিনেতা হিসেবে আমারও ইচ্ছা ছিল, গোটা ভারতবর্ষের বড় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার। তাঁদের মধ্যে শিবুদা আর নন্দিতাদি তো ছিলেনই। ফেব্রুয়ারি মাসে আমার কাছে যখন রক্তবীজের অফারটা আসে, ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। বল্লভপুরের রূপকথা-র পরে ওঁরা আমার কাজের ভীষণ প্রশংসা করে নিজে থেকেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন আমায়। চিত্রনাট্য পড়ে আমার ভীষণ ভাল লাগে। ওঁরা এতদিন ধরে যে ঘরানার কাজ করে আসছেন, 'রক্তবীজ'-এক্কেবারে অন্য স্বাদের ছবি। এই ছবিতে অনেক নামকরা অভিনেতারা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে আলাদা করে নিজের চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলাই ছিল আমার কাছে গুরুদায়িত্ব। আশা করি সেটা করতে পেরেছি। শিবুদা-নন্দিতাদি প্রতিটা দৃশ্যের পরেই আমার খুবই প্রশংসা করতেন। শ্যুটিং ও ডাবিংয়ের শেষেরদিন ওঁরা খুব আন্তরিকভাবে জানিয়েছিলেন আমার সঙ্গে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে। ওঁদের কাজ কেমন, সেটা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। তবে ওঁদের সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে পরিচালক হিসেবে দেখতে চাই, তাই প্রত্যেক পরিচালকের থেকেই অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে হয়। রক্তবীজের সেটে দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন অভিনেতা হিসেবে শিখেছি, তেমনই পরিচালক হিসেবেও শিখেছি। শিবুদা আমার ভীষণ প্রিয় অভিনেতাও। একদিন ওঁদের সঙ্গে অভিনয়, পরিচালনা, প্রযোজনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। সত্যি বলতে, রক্তবীজের শ্যুটিং আমায় অনেক কিছু শিখিয়ে গেল। 'গুমনামি'-র পর 'রক্তবীজ' আমায় পুজো রিলিজ। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব এটা জানার জন্য মানুষের আমার চরিত্র কেমন লাগল।'