কলকাতা: পাড়ার বিসর্জন। মাইকে বাজছে ‘ও টুম্পা সোনা..’। সেলেবদের বিয়ে? দল বেঁধে সবাই পা মেলাচ্ছেন ‘টুম্পা’-র তালে। এমনকি রাজনৈতিক প্রচারেরও হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ‘টুম্পা’। জনপ্রিয়তা হোক বা অপসংস্কৃতির তকমা, কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না এই গানকে। আর পর্দার ‘টুম্পা’ ওরফে সুমনা দাস ভুলতে বসেছেন তাঁর আসল নামটাই!



রেস্ট ইন প্রেম অ্যালবামের একটি গান ‘টুম্পা’। গানটি প্রথমে ব্যবহার করা হয়েছিল প্রোমোশনের জন্য। কিন্তু সেই গানটাই যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যাবে সেটা ভাবতে পারেননি অভিনেত্রীও। এবিপি আনন্দর সঙ্গে আড্ডায় বসে সুমনা বলছেন, ‘নিজের করা কোনও কাজ সাফল্য পেলে ভালো লাগে। কিন্তু এই গানটার সাফল্য আশাতীত ছিল। সাধারণ মানুষ তো বটেই, সেলেবরাও অনেকে প্রশংসা করেছেন গানটার। সম্প্রতি কবীর সুমন আমাদের বলেছেন, ‘এইরকম গান আরও চাই।’ এইরকম প্রশংসাগুলোই তো ভবিষ্যতে কাজ করার প্রেরণা।’



গানে নায়কের জীবনে প্রেম নিয়ে এসেছিল টুম্পা। আর সুমনার জীবনে প্রেম? সুমনা বললেন, ‘নিজের কাজকে ভালোবাসি। তবে প্রেম বলতে যা বোঝায়, ডেটে যাওয়া বা একসঙ্গে সময় কাটানো, তেমনটা তো এখনও পর্যন্ত কারও সঙ্গে করছি না।’ টুম্পা অনুরাগীদের প্রেম নিবেদনও ফিরিয়ে দিচ্ছেন? ‘আমার নিজের নাম ধরে তো কেউ কিছু লেখেই না। সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছে, টুম্পাদি.. ক্রাশ খেয়ে গেছি! দিদিও বলছে, আবার ক্রাশ খেয়েছিও বলছে! ভাবুন!’ সুমনার মন জয় করার থিয়োরি তাহলে কী? উত্তরে একটু ভেবে অভিনেত্রী বললেন, ‘আমার খুব সাধারণ মানুষকে ভাল লাগে। যেই আমার সঙ্গী হবে, তার মধ্যে যেন কোনও জটিলতা না থাকে।’



পরিবারের সঙ্গে অভিনয়ের কোনও যোগ নেই। তিনিই প্রথম পা রেখেছেন গ্ল্যামার দুনিয়ায়। টুম্পার জনপ্রিয়তাই পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে অভিনেত্রীর। ভবিষ্যতে টলিউডে কার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে? ‘ঋত্বিক চক্রবর্তী। সবার সঙ্গেই কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। তবে ঋত্বিকদা একজন খুব বড় অভিনেতা। আমার মনে হয় ওনার সঙ্গে কাজ করতে হলে আমায় অনেকটা প্রস্তুতি নিতে হবে।’  টলিউডে কাউকে পছন্দ হয়? উচ্ছল হাসি দিয়ে প্রশ্নটা এড়িয়েই গেলেন সুমনা। হাসি থামিয়ে বললেন, ‘বলিউডে ক্রাশ হৃতিক রোশন, আর টলিউডে লেডি ক্রাশ স্বস্তিকাদি।’



টুম্পা গানের মুক্তির পর অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, অপসংস্কৃতি। সুমনা বলছেন, ‘ভালো মন্দ সবরকম মন্তব্যই শুনেছি। অনেকেই বলেছেন, গানের ভাষা অন্যরকম বা ভোজপুরি ধাঁচ রয়েছে। আমি বলব, গানটি ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই স্টাইলে বানানো। আর এটা আইটেম নম্বর নয়, টুম্পা একটা মিষ্টি প্রেমের গান। সব খারাপের শেষে একটা ইতিবাচক ভাবনাই তুলে ধরে টুম্পা’।


 


খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন নাকি উপভোগ করছেন? ‘দুটোই। গানটার কেউ প্রশংসা করলে ভালো লাগে। কিন্তু বাজারে গেছি, হাতে ব্যাগ, তখন যদি কেউ এসে বলে, তুমি টুম্পা সোনা না? আমার নাম টুম্পা আর টাইটেল বানিয়ে দিয়েছে সোনা! আমি বলে দিই.. না না আমি নই!’ হেসে ফেললেন সুমনা।