কলকাতা: ফের বিয়ের সানাই বাজল বিনোদন জগতে (Entertainment Industry)। বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেতা ইন্দ্রজিৎ বসু (Indrajeet Bose)। তাও আবার চুপিসাড়ে! 'সাথী' ('Sathi') অভিনেতার পাত্রী কে? পাত্রীও কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রিরই।
চুপিচুপি বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন 'সাথী'-র ইন্দ্রজিৎ, পাত্রী কে?
বিয়ে সেরে ফেললেন টেলিভিশন দুনিয়ার হার্টথ্রব ইন্দ্রজিৎ বসু। সূত্রের খবর নয়, একেবারে টাটকা খবর এমনই। কিন্তু ভীষণই চুপিচুপি বিয়ে সারলেন 'সাথী' ধারাবাহিকের এই নায়ক। কাকপক্ষীও টের পেল না, বিয়ে করে নিলেন তিনি! এই খবরে কত ভক্তের যে হৃদয় ভাঙলেন তিনি, তার হিসেব কে রাখে!
কিন্তু ইন্দ্রজিৎ সাত পার ঘুরলেন কার হাত ধরে? শোনা যাচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রির এক নায়িকাকেই চুপিচুপি বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু কে সেই রহস্যময়ী নারী? ইন্দ্রজিৎ এই মুহূর্তে সান বাংলার 'সাথী' ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। ইভানের চরিত্রে। বিপরীতে আছেন অ্যান মেরি। অ্যানকেই নাকি তিনি বিয়ে করেছেন। তবে ঘাবড়াবেন না। এই বিয়ের গোটা পর্ব পুরোটাই হয়েছে চিত্রনাট্যের জন্য। অর্থাৎ 'সাথী' ধারাবাহিকের জন্যই ইন্দ্র ও অ্যান বিয়ে করেছেন। অর্থাৎ অসংখ্য অনুরাগী দুঃখ পাবেন না, ধারাবাহিকে বিয়ে সেরেছেন ইন্দ্রজিৎ।
এবার ইভান ও মেঘলার বিয়ে
মেঘলা ইভানের সঙ্গে মৃত ওম সান্যালের চেহারার হুবহু মিল দেখে সিদ্ধান্ত নেয়, ইভানকে ওম আর বৃষ্টির হারিয়ে যাওয়া সন্তান হিসেবে অলকেশ সান্যালের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত করবে। অলকেশ বৃষ্টির সঙ্গে যে অন্যায় করেছিল, তার প্রতিশোধ নেওয়ার বাসনা থেকেই মেঘলার মাথায় এই আইডিয়া আসে।
অনেক কাঠ-খড় পোড়ানোর পর ইভান শেষপর্যন্ত রাজিও হয় মেঘলার প্রস্তাবে। মেঘলার পরিকল্পনা অনুযায়ী ইভানকে হাজির করা হয় অলকেশ সান্যালের মা স্বর্ণময়ীর সামনে। স্বর্ণময়ী খুব সহজেই ইভানকে ওম আর বৃষ্টির নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সন্তান হিসেবে মেনেও নেন এবং ইভানকে সান্যাল বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেন। ইভান স্বর্ণময়ীর অনুরোধে রাজি হওয়ার সময় জানায়, সে বিবাহিত। মেঘলার সঙ্গে তার লুকিয়ে বিয়ে হয়েছে। আদতে যদিও ঘটনাটা মিথ্যে, কিন্তু ইভান ইচ্ছে করেই এই মিথ্যেটা বলে।
স্বর্ণময়ী মেঘলাকে সঙ্গে নিয়েই ইভানকে সান্যাল বাড়িতে বসবাস শুরু করার প্রস্তাব দেন। সান্যাল বাড়িতে যাওয়ার দিন সকালে ইভান আর মেঘলা একটা মন্দিরের সামনে দেখা করে, মেঘলা বিবাহিত নারীদের মতন সাজসজ্জা করার পরেও ইভান খেয়াল করে তার মাথায় সিঁদুর নেই। তাড়াহুড়োয় ইভান নিজেই মেঘলার মাথায় আচমকা সিঁদুর পরিয়ে দেয়। ইভানের কাছে ঘটনাটা সামান্য হলেও, ভয়ানক চমকে যায় মেঘলা। স্বাভাবিকভাবেই কোনও মেয়ের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব অপরিসীম। সান্যাল বাড়িতে যাওয়ার তাড়া থাকায়, এই ঘটনা নিয়ে মেঘলা বিশেষ কিছু বলার সুযোগ পায় না। ইভানের পরিয়ে দেওয়া সিঁদুর মাথায় নিয়েই সান্যাল বাড়িতে পা দেয় মেঘলা ইভানের বিবাহিত স্ত্রী হিসেবে। সেখানে সমস্ত রীতি রেওয়াজ মেনে তাকে নববধূ হিসেবে বরণও করা হয়। এভাবেই ঘটনা পরম্পরায় মেঘলা আর ইভান হয়ে ওঠে একে অপরের স্বামী-স্ত্রী। পরবর্তীতে তাদের এই বিয়ে তথা বিবাহিত জীবন কোন পথে এগোবে, সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।