কলকাতা: ছোটপর্দায় নয়, সবুজ ঝলমলে সালোয়ার কামিজেই জিমন্যাস্টিক্সের মঞ্চে আলতা ফড়িং ওরফে খেয়ালি দস্তিদার (Kheyali Dastidaar)। দুর্দান্ত ভল্ট দিয়ে তাক লাগাচ্ছেন খুদেদের, কখনও আবার হাসতে হাসতে হাতে তুলে নিচ্ছেন মাইক্রোফোন।  সদ্য ‘পশ্চিমবঙ্গ জিমন্যাস্টিক্স অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজন করেছিল জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতার। আর সেই অনুষ্ঠানে উত্তরপাড়ায় হাজির ছিলেন ফড়িং।


জিমন্যাস্টিক্সের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে খেয়ালীর বক্তব্য, তিনি যেন তাঁর ছোটবেলাকে ফিরে পেয়েছেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে খেয়ালী বললেন, 'ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দেখে আমার মনে পড়ে যাচ্ছে নিজের কথা। মানে খেয়ালীর ছোটবেলার কথা। অনেক ছোটবেলা থেকেই আমি জিমন্যাস্টিক শিখেছি। এমন করে আমিও বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় যেতাম। ঠিক এভাবেই দুরু দুরু বুকে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কখনও ভাবিনি এতজন মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে মঞ্চে বক্তব্য রাখব, জিমন্যাস্টিক নিয়ে কথা বলব। আপনাদের ভালোবাসায় আলতা ফড়িংয়ের ২০০ এপিসোড ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে।'


মঞ্চে খেয়ালী তুলে ধরেন 'আলতা ফড়িং'-এর স্মৃতিও। প্রথম যখন এই ধারাবাহিকে প্রোমো শ্যুট হয়, মাসটা ছিল ডিসেম্বর। গল্পের শুরু হয়েছিল আমফান ঝড়ের প্রেক্ষাপটে। খেয়ালী বলছেন, 'ডিসেম্বরের ঠাণ্ডায় আমরা ঝড়ে কাঁপতে কাঁপতে জলে ভিজে শ্যুটিং করেছিলাম। খেয়ালীর সঙ্গে জলে ভিজে শ্যুটিং করেছিলেন তাঁর পর্দার মা শাঁওলিও। এদিন সেই স্মৃতিই উঠে এল খেয়ালীর কথায়। 


আরও পড়ুন:30 Years of Kajol: ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০ বছর পার কাজলের, পোস্টে শুভেচ্ছা জানালেন অজয় দেবগণ


ধারবাহিক শুরুর আগে, এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খেয়ালী জানিয়েছিলেন, তাঁর জিমন্যাস্টিক্স শেখা নাচের জন্য। জিমন্যাস্টিকের পাশাপাশি দিব্যি নাচও করেন খেয়ালী। 


ধারাবাহিক শুরুর আগে ধারাবাহিকের অন্যতম মাথা সুশান্ত দাস শুনিয়েছিলেন খেয়ালীকে বেছে নেওয়ার গল্প। তিনি বলেছিলেন, 'আশা করিনি এমন কোনও মেয়ের সন্ধান পাব যে জিমন্যাস্টিক্স জানে। ভেবেছিলাম কোনও মেয়েকে জিমন্যাস্টিক্স শিখেয়ে নেব অথবা ডামি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু খেয়ালির অডিশানের রেকর্ড দেখে সঙ্গে সঙ্গে ওকেই ফড়িং করার সিদ্ধান্ত নিই। নায়িকাদের ক্ষেত্রে গলার স্বর মধুর হওয়াও খুব জরুরি। খেয়ালির গলাটাও মিষ্টি। ওর আগে আরও ৫জনকে ভাবা ছিল এই চরিত্রটার জন্য। খেয়ালিকে পেয়ে সবাইকে না বলে দিয়েছিলাম।'