তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: বেশিরভাগ সময়টাই কাটে শ্যুটিং ফ্লোরে.. আর তাই.. সেটাই যেন হয়ে গিয়েছে পরিবার। ছুটি থাকলেও, ডাক দেয় ফ্লোরের বন্ধুরাই। তাঁদের সঙ্গেই চলে আড্ডা-গল্প। শ্যুটিং ফ্লোর থেকে শুরু করে রূপটান ঘর.. কেমন করে সময় কাটে 'হরগৌরী পাইস হোটেল'-এর নায়িকার? তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই, যে বাইরে শো করতে গিয়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি! এবিপি লাইভের কাছে, সেই গল্পের ঝুলি উপুড় করে দিলেন ঐশানী ওরফে শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায় (Suvosmita Mukherjee)। 


যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta) ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের (Nilanjanaa Senguptaa)-র প্রযোজনায়, পায়ে পায়ে দেড় বছর পার করে ফেলল ধারাবাহিক 'হরগৌরী পাইস হোটেল'। শ্যুটিংয়ের চাপ তো থাকেই, কিন্তু তার বাইরে কী চলে শ্যুটিং ফ্লোরে? শুভস্মিতা বলছেন, 'এতদিন ধরে শ্যুটিং করছি.. সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছে আমার। মাঝে মাঝে ছুটির দিন বাড়িতে ঘুমালেও ওরাই ফোন করে টেনে বের করে। ঘুরতে যাই। এছাড়া আমাদের টিমটার বিশেষত্ব হল... সব্বাই ভীষণ খেতে ভালবাসে। হামেশাই বাইরে থেকে খাবার আনানো হচ্ছে। আমাদের ধারাবাহিকের নাম হোটেল গিয়েস সেটা যেন আমরাই সার্থক করে তুলেছি। যেমন ধরুন, লেমন টার্ট (Lemon Tart) আমাদের ভীষণ প্রিয়। ১টায় থামি না কখনোই।'


ফ্লোরে কখনও কি চলে আসেন খোদ প্রযোজক? শুভস্মিতা বলছেন, 'মাঝেমাঝেই ফ্লোরে যীশুদা আর নীলাঞ্জনাদি আসেন। ওঁরাও ভীষণ গল্প করতে ভালবাসেন। ওঁরা এলে গোল হয়ে বটে আড্ডা হয়, খাওয়া-দাওয়া হয়। আবার যার যখন শট, সে গিয়ে শটও দিয়ে আসে। দেড় বছর ধরে কাজ করছি একসঙ্গে, প্রত্যেকের সঙ্গেই সম্পর্ক ভীষণ ভাল। কিছু মানুষের সঙ্গে আগেও কাজ করেছিলাম। কিছু মানুষ নতুন। তবে এখন যেন সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছি।'


ছোটপর্দা মানেই তো একেবারে সাধারণের বৈঠকখানায় ঢুকে পড়া। পর্দার 'ঐশানী'-র অনুরাগীদের সংখ্যা কত? হাসতে হাসতে শুভস্মিতা বললেন, 'আমার অনুরাগীরা বেশিরভাগ আমায় ঐশানী বলেই ডাকেন। আমি অবশ্য সেটা ভীষণ ভালবাসি। পছন্দও করি। তবে একবার একটা ঘটনা ঘটেছিল। কয়েকদিন আগে আমি একটো শো করতে গিয়েছিলাম। তখন ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, আমি আর শংকর (ধারাবাহিকের নায়ক) আলাদা হয়ে গিয়েছি। শো-এর মধ্যেই মঞ্চে উঠে আসেন এক ভদ্রলোক। তাঁর অভিযোগ, কেন আমি আর শংকর আলাদা হয়েছি। পারলে আমায় মারতে আসেন আর কি.. এই ঘটনাগুলোয় বুঝতে পারি, মানুষ ঠিক কতটা আবেগপ্রবণ ধারাবাহিকটা নিয়ে।'


ধারাবাহিকের গল্পে একটা পরিবর্তন এসেছে। ঈশানী এখন আইপিএস, তার এক মেয়েও রয়েছে। এই পরিবর্তন অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে কি বিশেষভাবে খাটতে হচ্ছে তাঁকে? শুভস্মিতা বলছেন, 'বাড়ির ভিতরে ঈশানীর তেমন পরিবর্তন নেই। তবে বাইরে সে আইপিএস। ফলে শরীরী ভাষা থেকে শুরু করে কথাবার্তা, চালচলন সবকিছুতেই একটা কাঠিন্য আনতে হচ্ছে। প্রত্যেক মুহূর্তেই শট দেওয়ার সময় সেটা মাথায় রাখছি। ভুলে গেলে অবশ্য কেউ না কেউ ধরিয়ে দিচ্ছেন। আসলে এত ভাল একটা টিম পেয়েছি। আর আমার পর্দার মেয়ে.. অনুমেঘা.. ও তো ভীষণ মিষ্টি। একদিন আমি হাঁটছি, দেখি আমার আঁচলে টান পড়ছে। দেখি পুঁচকেটা আমায় আঁচল ধরে ঘুরছে। আমায় বলল, 'আমি এখন থেকে এভাবেই তোমার আঁচল ধরে ঘুরব। ছাড়ব না...'


 






আরও পড়ুন: Akshay Kumar: একসময় কাজ করেছেন কলকাতাতেও, ১০০ টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে মুম্বইতে থাকতেন অক্ষয়!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।