কলকাতা: বটব্যালের ওপর নজরদারি করতে গিয়ে বিপাকে পর্ণা (Parna)। ভিকি (Vicky) ও ইন্দিরা (Indira) কি নিজেদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচাতে পারবে? গোটা সপ্তাহে ছোটপর্দার কোন গল্পে আসতে চলেছে কী কী ট্যুইস্ট? দেখে নেওয়া যাক টেলি মশালা (Telly Mashala)। 


'নিম ফুলের মধু' (Neem Phooler Madhu)


বটব্যালের চোরাই কারবার ধরার জন্য পর্ণা, স্যান্ডি রুচিরা, বর্ষা, মঙ্গলাদের সাহায্য নিয়ে বটব্যালের অফিসে যায়। বটব্যালের ল্যাপটপ, অফিস সর্বত্র সার্চ করে তাঁরা। কিন্তু সেখানে ভুল করে নিজেদের আই-কার্ডটা ফেলে আসে। ফলে বটব্যাল পরিষ্কার সবটা বুঝে যায়। সে হাজির হয় পর্ণার অফিসে। সেখানে সে পর্ণার বসকে শর্ত দেয়, হয় পর্ণাকে চাকরি থেকে তাড়াবে আর নয়তো কারও ওপর তাদের এই বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করবে। বাগচী স্যার পর্ণাকে টার্মিনেশন চিঠি ধরায়। বটব্যাল খুশি হয়। কিন্তু সে চলে যাওয়ার পর বাগচী স্যার পর্ণাকে দুই দিনের সময় দেয় বটব্যালের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে তাকে জেলবন্দি করার। তারপর?


'খেলনাবাড়ি' (Khelnabari)


অনামিকা নিজের ছেলেকে আদর হিসেবে সাজিয়ে পাঠিয়ে দেয় লাহিড়ি বাড়িতে। নকল আদর জানতে পারে যে আসল আদর হল শিবা। এরপর তাকে মারার চেষ্টা করে। মিতুল কীভাবে বাঁচাবে শিবাকে? এদিকে অলোকার কাছে খবর আসে যে দুবাইতে একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে খুন করে তার খুনি কলকাতায় ছদ্মবেশে গা ঢাকা দিয়েছে। নকল আদরের হাবভাবে সন্দেহ জন্মায় অলোকার মনে। এতে পরিবারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি আরও বাড়ে অলোকার। 


'বাংলা মিডিয়াম' (Bangla Medium)


দু'বছর আগের বদলা নিতে এলিনা একটা মরণ ফাঁদ পরিকল্পনা করে স্কুলের বাচ্চাদের ঘিরে। যাতে ভিকি বাধ্য হয় বলতে যে এলিনা নির্দোষ। স্বাভাবিকভাবেই ইন্দিরা বাচ্চাদের বাঁচাতে নিজে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ইন্দিরাকে বাঁচাতে ভিকিও তার সঙ্গে এই মরণ ফাঁদে ফেঁসে যায়। ভিকি ও ইন্দিরা কি পারবে এই ভয়ানক ষড়যন্ত্রের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে?


'ফাগুনের মোহনা' (Phaguner Mohona)


ভাল মায়ের ওপর এমনিই সন্দেহ আছে মোহনার। অণুও বলছে বাইরে ঘুরতে গিয়ে মোহনা ও আয়ুষের কাছে অতীতে সব ঘটনা খোলসা করবে। মধুর কি কোনও অজানা তথ্য বেরিয়ে পড়বে এদের সকলের সামনে? মোহনার সন্দেহ কি তাহলে সত্যি? ভাল মা, যাকে আয়ুষ এত শ্রদ্ধা করে, এত বিশ্বাস করে, সেটা কি সব মিথ্যা হয়ে যাবে? সেটা কি মধু আদৌ হতে দেবে?


আরও পড়ুন: Madan Mitra:শিয়ালদা স্টেশনে 'ওহ লাভলি'-র তালে পা মেলালেন মদন মিত্র!


'বিয়ের ফুল' (Biyer Phool)


দিগন্ত জানায় সবাইকে যে কল্যাণ এখানে কোনও মতলব নিয়ে এসেছে। এই শুনে দাদু অসুস্থ হয়ে যায়। তখনই কোলি (কল্যাণ) নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে আনে এবং দাদুকে শোঁকায়। তখনই দাদুর জ্ঞান ফিরে আসে। ডাক্তার জানায় কল্যাণের বুদ্ধির জোরেই দাদু বেঁচে আছেন। এই শুনে স্বর্ণ খুব খুশি হয়ে কল্যাণকে জড়িয়ে ধরে। কোলি নিজে খুব লজ্জিত বোধ করে যে ও দাদুকে ঠকাচ্ছে এরকম ছেলে সেজে। এরপর সে নিজের ঘরে গিয়ে চুল গোঁফ খুলে ফেলে। ঠিক সেই সময়েই সেখানে এসে পড়ে দিগন্ত ও অনন্ত। এবার ওরা কি কল্যাণের আসল পরিচয় জেনে যাবে যে কল্যাণই আসলে কোলি?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial