কলকাতা: বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন রাধিকা (Radhika)। অন্যদিকে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছে পঞ্চমী (Panchami)। গোটা সপ্তাহে ছোটপর্দার কোন গল্পে আসতে চলেছে কী কী ট্যুইস্ট? দেখে নেওয়া যাক টেলি মশালা (Telly Mashala)। 


বাংলা মিডিয়াম (Bangla Medium)


স্কুল থেকে অনিকেতকে তাড়িয়ে দিতে চায় ভিকি। কিন্তু তখনই তাকে অনিকেত মনে করিয়ে দেয় যে স্কুলের ৫১ শতাংশের মালিক সে। এরপর অনিকেতের নেওয়া একের পর এক সাংঘাতিক সিদ্ধান্তের ফলে স্কুলের ক্ষতি হতে থাকে। এসব দেখতে দেখতে অবশেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে ইন্দিরা। ভিকি প্রচণ্ড রেগে গিয়ে ইন্দিরাকে 'তিন দিনের জন্য প্রধানশিক্ষিকা' হয়ে সমস্ত দায়িত্ব সামলানোর চ্যালেঞ্জ দেয়। ইন্দিরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করে এবং সবটা সাফল্যের সঙ্গে সামাল দেয়। সে স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা হয়ে ওঠে। এটা কি ভিকি ও ইন্দিরার মধ্যে সাজানো কোনও পরিকল্পনা ছিল স্কুলটাকে বাঁচানোর জন্য? অবশেষে ভিকি ও ইন্দিরা ফের একে অপরের কাছে চলে আসে এবং একত্রে স্কুলের ভালর জন্য কাজ করতে শুরু করে।


এক্কা দোক্কা (Ekka Dokka)


রাধিকা এক বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে এবং সে চায় একমাত্র অনির্বাণই যেন তাঁর অস্ত্রোপচার করে। এক সিনিয়র নিউরোসার্জন, যিনি অনির্বাণের বাবার বন্ধুও বটে তিনি রাধিকার চিকিৎসার জন্য অনির্বাণের নাম বলেন। তিনি বলেন যে অস্ত্রোপচারে তাঁকে অনির্বাণ যেন সাহায্য করে কারণ এর সাহায্যে অনির্বাণের সুস্থতার গতিও বৃদ্ধি পেতে পারে সেই আশায়। এবার প্রশ্ন এটাই যে অনির্বাণ কি রাধিকার অপারেশন করতে পারবে? সে কি আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে? 


পঞ্চমী (Panchami)


প্রবল প্রসব বেদনায় ছটফট করছে পঞ্চমী। কর্তা মা তাকে বলতে থাকে, 'তোর কিচ্ছু হবে না'। পুতনা একদিকে মন্ত্র পড়তে থাকে, আকাশে কালো মেঘের সমাগম হয়, বজ্রবিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। মশাল নিভে যায়। পুঞ্জীভূত কালো মেঘের জন্ম হয়। চিত্রা বলে, 'আমার সন্তান কোথায়?' পুতনা হেসে ওঠে ভয়ঙ্করভাবে। দোলনায় দোল খাচ্ছে মেঘ। পুতনা রহস্যময় চোখে আঙুল দেখায় দোলনায়। মেঘ থেকে শিশু কন্যা। ওদিকে মন্দিরের চারপাশে আলোর ঝলকানি – উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি – শিবলিঙ্গ জ্যোতির্ময় হয়ে ওঠে -  সাপ পরিবেষ্টিত হয়ে জন্ম নেয় পঞ্চমীর সন্তান। পঞ্চমীর চোখ জলে ভিজে যায়। দেবশিশুর কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। মাথায় নাগমণি, সাপেরা প্রণাম জানায়। পঞ্চমী কোলে তুলে নেয় সন্তানকে। অন্যদিকে পুতনা চিত্রার হাতে দেয় শিশুকন্যাকে।


অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chowa)


ধীরে ধীরে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে রূপা বুঝতে পারবে যে সোনা তাঁর নিজের বোন। এবার রূপা কি সেই কথা জানাবে সোনাকে? সোনা ও রূপা কি পারবে দীপা ও সূর্যকে ফের একত্রিত করতে?


আরও পড়ুন: Glowing Skin: উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ভিটামিন কে-এর মধ্যে, কী কী খাবার খেতে পারেন?


সোহাগ চাঁদ (Sohag Chand)


হরিপুরে চলছে ক্রিকেট প্র্যাক্টিস। সেখানে সরাসরি অংশ না নিলেও নিজের মতো সোহাগ সাহায্য করতে থাকে। চাঁদের দলকে সে সাহায্য করতে থাকে। দুর্জয় ও চাঁদ দল তৈরি করতে শুরু করে। কিন্তু চাঁদের দলের বিরুদ্ধে মল্লিকার সাহায্যে প্লট সাজাতে শুরু করে দুর্জয়। ম্যাচের দিনই সন্ধ্যায় দুর্জয়ের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচায় চাঁদ। ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চাঁদ ১২জন সদস্যের একটি টিম আনতে ব্যর্থ হয় কারণ দুর্জয়ের প্ল্যানিং কাজ করে যায়। সোহাগ এক উপায় নিয়ে পৌঁছয় এবং দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামে। খেলতে গিয়ে চাঁদ আহত হয় এবং তাকে সোহাগ বাঁচায়। চাঁদ অবশেষে খেলায় জেতে এবং সোহাগ তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তারপর?


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial