মুম্বই:  ২০১২ সালে নবাগতা অভিনেত্রী মীনাক্ষি থাপার হত্যার ঘটনায় দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করল মুম্বইয়ের এক আদালত। বিচারক এ.জি শেট্টি অমিত জয়সওয়াল (৩৬) এবং তাঁর বান্ধবীকে এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে দোষীসাব্যস্ত করেছেন। অমিত ও তাঁর বান্ধবী প্রীতি সুরিনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও পয়সার জন্যে অপহরণ (৩৬৪ এ) ধারায় দোষীসাব্যস্ত করেছে আদালত। আজ দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করা হবে। এই খুনের ঘটনায় ৩৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারমধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মীও ছিলেন। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার যেহেতু কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না, তাই সম্পূর্ণ মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের দক্ষতাতেই আসল দোষীকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।


 

আদালত সূত্রে খবর, অমিত এবং তাঁর বান্ধবী দুজনেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এবং মডেল কোর্ডিনেটর। মধুর ভণ্ডারকারের ছবি ‘হিরোইন’-এর সেটে মীনাক্ষি থাপার সঙ্গে তাঁদের আলাপ। তাঁদের ধারনা ছিল মীনাক্ষি অত্যন্ত ধনী পরিবারের মেয়ে। সেই ধারনা থেকেই তাঁরা মীনাক্ষিকে অপহরণ করে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করেন। মীনাক্ষির পরিবারের থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অমিত ও প্রীতি। পরে মীনাক্ষির পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বুঝতে পেরে তাঁকে গলা টিপে হত্যা করেন অপহরণকারীরা।

ঘটনার এক মাস বাদে ইলাহাবাদের একটি বাড়ির ট্যাঙ্ক থেকে মীনাক্ষির গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ওই দুজন প্রথম থেকেই পুলিশের নজরে ছিলেন, কারণ, থাপাকে শেষবার অমিত ও প্রীতির সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। এছাড়া মোবাইলের কল রেকর্ড ঘেঁটেও পুলিশ তাঁদের দুজনের এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ পায়। জয়সওয়াল এবং সুরিনকে থাপার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার সময়ই বান্দ্রার শহরতলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।