মুম্বই: শিশু শিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল উর্মিলা মাতন্ডকরের। তিনি বলেছেন, বলিউডে স্বজনপোষণের বিষয়টি তিনি কখনও অস্বীকার করেননি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে একটানা চলেছে বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে আলোচনা। উঠে আসছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। একাধিক অভিনেতা-পরিচালক বার বার মুখ খুলেছেন এর বিরুদ্ধে। এই বিতর্ক নিয়ে উর্মিলা মাতন্ডকার তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। বললেন, তিনি যে ভাবে স্বজনপোষণের শিকার হয়েছেন, তা সম্ভবত সিনেমার ইতিহাসে আর কেউ হননি।


দিনকয়েক আগে উর্মিলাকে সফ্ট পর্ন স্টার বলে আক্রমণ করেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেন, ‘উর্মিলা তো সফ্ট পর্ন স্টার ছিলেন। আর যাই হোক উনি অভিনয়ের জন্যে কোনওদিনই পরিচিত ছিলেন না। সফ্ট পর্ন করার পরও যদি তিনি নির্বাচনে টিকিট পেতে পারেন, তাহলে আমিই বা পাব না কেন?’ কঙ্গনার কথার ইঙ্গিত ছিল যে উর্মিলা যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও মুম্বইকর হিসেবে অনেক সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু উর্মিলার লড়াইয়ের যে কাহিনি এক সাম্প্রতিক ইন্টারভিউতে উঠে এসেছে তা অন্য কথাই বলে।

প্রসঙ্গত, ‘মাসুম’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমার জগতে আসেন উর্মিলা। এরপর পর নায়িকা হিসেবে ডেবিউ ১৯৯১ সালে নরসিমহা ছবিতে। তাঁর দাবি ওই একই সময়ে আরও বহু স্টার-কিডের ডেবিউ হয়েছিল বলিউডে। কিন্তু প্রথম ছবিতে যথেষ্ট নাম করেও তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয় প্রতিষ্ঠা পেতে।ইন্টারভিউতে উর্মিলা বলেন, ‘আমি স্বজনপোষণ নিয়ে কথা বলা শুরু করলে ঘন্টার পর ঘন্টা পেরিয়ে যাবে। মুম্বইয়ের মেয়ে হয়েও আমাকে যেভাবে নেপোটিজম সহ্য করতে হয়েছে, তা বলার নয়। ১৯৯১ সালে প্রায় দেড় ডজন নতুন নায়িকা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। বেশিরভাগই কোনও না কোনও প্রভাবশালীর মেয়ে। সেই তালিকায় রয়েছেন রবিনা ট্যান্ডন, করিশ্মা কাপুর, পূজা ভাট, কাজল। প্রথম ছবিতেই ভালো অভিনয় ও নাচের জন্য আমার যথেষ্ট নাম হয়। কিন্তু তাতেও কম লড়াই করতে হয়নি।রঙ্গিলায় কাজ করার যখন চান্স পেলাম, ততদিনে ইন্ডাস্ট্রি আমাকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল।’
১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া রঙ্গিলা বক্স অফিসে তুমুল হিট করলেও, তাঁকে কখনও কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি এই ছবির জন্যে। ঊর্মিলার আক্ষেপ, তাঁকে বাদ দিয়ে ছবির বাকি সব দিক নিয়েই আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়েননি।