কলকাতা: ভালোবাসা মানে কেবল নিজের সঙ্গী নয়, ভালোবাসা মানে তো পরিবারও। ঠিক ১ বছর আগে আজকের দিনেই বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েছিলেন রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় (Rudrajit Mukherjee) আর প্রমিতা চক্রবর্তী (Promita Chakraborty)। ৩ বছরের প্রেম তাঁদের, এখন কলকাতার বুকেই সংসার পেতেছেন তাঁরা। আজ বিবাহবার্ষিকী হলেও শ্যুটিং রয়েছে তাঁদের। তারমধ্যেই প্রেমের গল্পে এবিপি লাইভের সঙ্গে মজলেন প্রমিতা। 


ধারাবাহিকের কাজ করতে গিয়েই প্রেম। রুদ্রজিতের কোন ব্যবহার আকৃষ্ট করেছিল প্রমিতাকে? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমার খুব ভালো লাগত বাকি সবার সঙ্গে রুদ্রর ব্যবহার। আর কাজের প্রতি কোনও বিরক্তি নেই ওর। সকাল হোক বা রাত, ও মন দিয়ে কাজ করত। তারপরেই আস্তে আস্তে প্রেম। তারপর বিয়ে।' ভালোবাসা বলতে প্রমিতার কাছে কী অনুভূতি? অভিনেত্রী বলছেন, '১০, ২০, ৩০ বছর কেটে যাক, মানুষটাকে দেখলে যেন মনে হয়, আমি একেই পাশে চাই সবসময়। এক, দুই মাস নয়, সারা জীবনের জন্য পাশে চাই। রুদ্রজিতকে দেখে আমার এখনও সেই অনুভূতি হয়। এক কথায় এই অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না। আর হ্যাঁ, বিপরীতের মানুষটা যেন আমার ছোট ছোট জিনিসগুলো বুঝতে পারে। এই বোঝাপড়াটা আমার আর রুদ্রর মধ্যে আছে।'


আরও পড়ুন: Valentine's Day Story: খোয়াইয়ের হাটে হঠাৎ শুনলাম, 'চা খাবে সঞ্চারী?' ফিরে দেখি সঙ্গীত


ধারাবাহিক 'পিলু'-তে শিঞ্জিনীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রমিতা, আর তাঁর বিপরীতে রয়েছেন তাঁর রিয়েল লাইফ সঙ্গী রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় (Rudrajit Mukherjee)। বিয়ের বয়স বাড়ার শুভেচ্ছা জানাতে তাঁদের ফোন করেছিল এবিপি লাইভ। কী পরিকল্পনা রয়েছে আজকের? মোবাইলের ওপার থেকে প্রমিতা বললেন, 'আজ সকালেই প্রথম বিবাহবার্ষিকীর ফটোশ্যুট করেছি। আমার মনে হয় ছবিগুলোই স্মৃতি। একটু পরেই শ্যুটিংয়ে বেরিয়ে যাব। সদ্য নতুন ধারাবাহিকে কাজ করছি একসঙ্গে। বিয়ের পর রিয়েল লাইফ জুটির রিল লাইফেও একসঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ বড় একটা হয় না। এটাই আমার প্রথম বিবাহবার্ষিকীর উপহার। কাজকে বাদ দেওয়া যায় না, তাই শ্যুটিং বাতিল করিনি।' অর্থাৎ লাল গাউন আর সাদা ব্লেজারের সাজ পরিবর্তন করেই রঙ্গন আর শিঞ্জিনী সেজে ফেলবেন প্রমিতা রুদ্রজিৎ। ধারাবাহিকের গল্পে তাঁদের গানের পছন্দ আলাদা হলেও, বাস্তব জীবনে বেঁধে বেঁধেই থাকেন প্রমিতা-রুদ্রজিৎ।


সারাদিন কী তবে পর্দায় প্রেম করেই কাটবে জুটির? হেসে প্রমিতা বললেন, 'না রাতে ফিরে ডিনারে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভালোবাসা মানে তো কেবল দুজন মানুষ নয়। রুদ্রজিৎ-এর মা ও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমার মা, বাবা আর রুদ্রর মা, সবাইকে নিয়ে বাইরে কোথাও খাওয়াদাওয়া করতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। দেখি কত তাড়াতাড়ি ছুটি পাই?'