মুম্বই:  দিওয়ালি উপলক্ষে আমির খানের আসন্ন ছবি 'সিক্রেট সুপারস্টারে'র প্রচারে সম্প্রতিই ছোটপর্দায় একান্ত একটি চ্যাটে হাজির হয়েছিলেন বিরাট কোহলি এবং আমির খান। সেই কথোপকথনে দুজনের মধ্যে কী কথা হল জানেন? জানা গিয়েছে ছোটপর্দার সেই শোয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেছেন দুই কিংবদন্তী তারকা। স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় এসেছে অনুষ্কা শর্মার কথা।

ছবি সৌজন্যে মানব মাঙ্গলানি

শোয়ে উপস্থিত এমন এক ব্যক্তির মুখ থেকেই জানা গিয়েছে, শোয়ে এসে কোহলি তাঁর সঙ্গে অভিনেত্রী অনুষ্কার সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান অনুষ্কার স্বভাবের সবথেকে ভাল দিক হল সে ভীষণই সৎ এবং যত্নশীল। তবে অনুষ্কার স্বভাবের খারাপ দিক হল, সে সবসময়ই কোথাও কথা দিয়ে সময়ের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট দেরিতে আসেন। তবে তাঁর সঙ্গে সুসময় এবং দুঃসময় থাকার জন্যে অনুষ্কাকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বিরাট। কারণ ব্যক্তি হিসেবে, মানুষ হিসেবে তাঁর মধ্যে গত তিন-চার বছরে যে পরিবর্তন এসেছে, তার কৃতীত্বও অনুষ্কার। প্রসঙ্গত স্কিপার সম্পর্কে বলতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্য সদস্যরাও শোয়ে হাজির হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই কে.এল রাহুল জানান কোহলির ভাল এবং বাজে ব্যবহার সম্পর্কে। কোহলি ফিটনেস পাগল, খেলা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন, নিজের উন্নতি কীভাবে করা যায়, সেটা সবসময়ই তাঁর মাথায় ঘোরাফেরা করে। তবে খারাপ স্বভাবও আছে। ভীষণ দেখাতে ভালবাসেন কোহলি, গ্রিন রুমে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁকে। আর সর্বক্ষণ ফোনে ব্যস্ত থাকেন।

ছবি সৌজন্যে মানব মাঙ্গলানি



বিরাটের ডাক নাম চিকু কেন জানেন? অনূর্ধ্ব সতেরো খেলার সময় এমনভাবে নিজের চুল কেটেছিলেন বিরাট যে তাঁর কানগুলো বড় লাগত। সেইজন্যে সকলে আদরে করে তাঁকে চিকু (খরগোশ) বলে ডাকত। প্রথমে ধোনিই এই নামে ডাকা শুরু করেন। তারপর সবাই তাঁকে অনুসরণ করেন।

গুরমিত রাম রহিমের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল কোহলির। তবে সেই সাক্ষাতের সবচেয়ে মজার মুহূর্তটি হল স্বঘোষিত গডম্যান আশিষ নেহেরাকে 'জগদীশ নেহেরা' এবং ইউসুফ পাঠানকে 'জৌসুফ পাঠান' বলে ডেকেছিলেন, জানিয়েছেন কোহলি।

আমির খান অভিনীত ছবির মধ্যে কোহলির পছন্দ হল 'জো জিতা ওহি সিকান্দার', 'থ্রি ইডিওটস' এবং অবশ্যই 'পিকে'। এরপরই আমির হাসতে হাসতে বলেন, স্বাভাবিক, কারণ ছবিতে তাঁর প্রেমিকা অনুষ্কা ছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি মালিঙ্গার ইওর্কার নিয়ে প্রথমে যে একটু নার্ভাস ছিলেন সেকথাও অকপটে স্বীকার করেন কোহলি। পরিবার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিরাট জানান, তিনি বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। তাই তাঁর ওপর তেমন কোনও বিধি নিষেধ কোনওদিনই ছিল না। দাদারা মাঠে পৌঁছে দিতেন, বাবা ম্যাচ দেখতেন। কোহলির ছোটবেলা ছিল এমনই সুন্দর, জানিয়েছেন স্কিপার নিজেই।