কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অর্থাৎ ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তিনি। অন্যদিকে দলের অন্দরেই ক্রমাগত আত্মবিশ্লেষণ চলছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ জায়গাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থীরা। এই নিয়ে তথাগত রায়ের বক্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনীতির মঞ্চে। হেরে যাওয়া প্রার্থীদের 'নগরের নটী' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁদের টিকিট দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তথাগতর ট্যুইটে স্পষ্ট করে লেখা ছিল তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এই নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। এরপর ট্যুইটারে সরব হলেন তনুশ্রী ও পায়েলও।


ঠিক কী লিখেছেলেন তথাগত? দোলের দিন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে তনুশ্রী, পায়েল ও শ্রাবন্তীর নৌকাবিহার নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সেই ঘটনা নিয়ে তোপ দেগে অভিনেত্রীদের বুদ্ধিহীন বলেছেন তথাগত। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে 'নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করার' অভিযোগও করেছেন।


এই ট্যুইটের প্রতিবাদে আজ পায়েল সরকার লেখেন, 'নির্বাচনের ফলাফল হয়ত আমাদের অনুকুলে যায়নি, কিন্তু আমরা নরেন্দ্র মোদিজী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়জী, শুভেন্দু অধিকারীদা, অমিত শাহ জী ও দিলীপ ঘোষদার শিক্ষায় যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। আপনার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে করা এই ট্যুইটটি আপনার চিন্তাভাবনার পরিচয় দেয়। হেরে যাওয়ার পরেও আমি জানিয়েছি, দল ছেড়ে যাব না। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এমনই হয়। আপনি আমার থেকে বড়, তাই আপনিও আমাদের দিক নির্দেশ করবেন সেই আশায় রইলাম।'


অন্যদিকে ট্যুইটারে আক্রমণ শানিয়েছেন তনুশ্রী সরকারও। তিনি লিখেছেন, ' আমার আত্মসম্মান আছে আর তাই আমি এই ট্যুইটটা করছি। মহিলাদের উদ্দেশে একটি আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যে দলে সুষমা স্বরাজ বা স্মৃতি ইরানির মত নেত্রী রয়েছেন সেই দলের কোনও সদস্যর এমন মন্তব্য করাটা দুর্ভাগ্য। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এমন মন্তব্য আমাদের আঘাত করেছে তথাগত রায়। আমি রাজনৈতিক দলের নীতিতে বিশ্বাস করি। এই বিষয়ে আমি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, অমিত মালব্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করব।'