মুম্বই: সেটা ১৯৮২ সাল। বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক বিনোদ খন্না অভিনয় জীবনের মধ্যগগনে। কিন্তু আচমকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্ত্রী গীতাঞ্জলি এবং দুই পুত্র অক্ষয় ও রাহুলকে পাশে নিয়ে তিনি ঘোষণা করলেন, আর ছবি করবেন না। ধর্মগুরু ওশো রজনীশের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক জীবন শুরু করতে চলেছেন। নিজেকে স্বামী বিনোদ ভারতী নামে পরিচয় দেন এই অভিনেতা। তাঁর এই সিদ্ধান্তে হতাশ হন অনুরাগীরা। তবে কয়েক বছর পরে বলিউডে ফিরে আসেন বিনোদ। তিনি স্বীকার করেন, আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই ফের ছবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আজ এই জনপ্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিচারণা করেছেন বর্ষীয়াণ চলচ্চিত্র সাংবাদিক দিলীপ ঠাকুর। তিনি বলেছেন, ‘যে সময় বিনোদ বলিউড থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, সেই সময় তাঁর তৎকালীন স্ত্রী গীতাঞ্জলির সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই টিনসেল টাউন থেকে সরে গিয়ে পুণের কোরেগাঁও পার্কে রজনীশের আশ্রমে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিনোদ। সেই সময় তিনি কেরিয়ারের মধ্যগগনে। তাঁর ভক্তরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।’

কয়েক বছর পরে মুকুল আনন্দের ইনসাফ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রত্যাবর্তন ঘটান বিনোদ। সেই ছবি প্রবল জনপ্রিয় হয়েছিল। বিনোদের ভক্তরা তাঁকে বলিউডে ফিরে আসতে দেখে খুশি হয়েছিলেন। তবে আধ্যাত্মিকতার জন্য বলিউড থেকে কয়েক বছর সরে থাকায় এই অভিনেতার কেরিয়ারের ক্ষতি হয়েছিল বলেই মত দিলীপের।