দেরাদুন: দক্ষিণের বেশিরভাগ অভিনেতার চলচ্চিত্র গুরু রজনীকান্ত, ভারতীয় সিনেমার আলটিমেট সুপারস্টার। কিন্তু জানেন কি, রজনীকান্তেরও গুরু আছেন একজন, যাঁর স্মৃতিতে প্রতি বছর হিমালয়ে পাড়ি দেন তিনি?

সেই গুরু হলেন মহা অবতার বাবা, কুমায়ুন হিমালয়ের আলমোড়া জেলার এক গণ্ডগ্রামে গুহায় থাকতেন এই সাধক। তাঁর জীবনীই উঠে এসেছে যোগানন্দ পরমহংসের কলমে, অটোবায়োগ্রাফি অফ আ যোগী গ্রন্থে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,০০০ ফুট উঁচুতে দুনাগিরি পাহাড়ের ওপরে বিপজ্জনক রাস্তা দিয়ে এক ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের পর পৌঁছনো যায় মহা অবতার বাবার আশ্রমে। এখন এটি দেখাশোনা করে যোগ সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া।

রজনীকান্ত প্রতি বছর আসেন এখানে। ফলে কিছুটা হলেও পরিচিতি পেয়েছে পাহাড়ে জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকা। স্থানীয় ধাবায় ভাত, ডাল খান তামিল সুপারস্টার। তারপর হেঁটে হেঁটে উঠে যান পাহাড়চূড়োয়, ধ্যান করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

রজনীকান্ত সহ বাবার ৫ ভক্ত এখানে একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র গড়ে তুলতে অর্থ সাহায্য করেছেন যে সংস্থা আশ্রমটি দেখাশোনা করে সেই যোগ সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে। তারা এখানে প্রতি বছর আয়োজন করে ধ্যান চর্চার অনুষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দাদের ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় লেখাপড়াও শেখানো হয় এখানে।

জানা গিয়েছে, নিজের এক ঘনিষ্ঠ সহচর ও ব্যবসায়ী বিশ্বনাথন শ্রী হরির মাধ্যমে এই গুহার সঙ্গে পরিচিত হন রজনী। তারপর থেকে নিয়মিত তামিলনাড়ু থেকে উত্তরাখণ্ডে আসেন তাঁরা। রজনীর বন্ধুরা বলেন, তাঁর বিশ্বাস, এই গুহায় নিয়মিত যাতায়াত করে তাঁর কেরিয়ারে চোখে পড়ার মত উন্নতি হয়েছে।