নয়াদিল্লি: মাত্র ৭ দিনেই 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'-এর বক্স অফিসে আয়ের অঙ্ক ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার সলমন-ক্যাটরিনা জুটির ছবির পরিচালক আলি আব্বাস জাফর জানালেন কীভাবে এই ছবির অনুপ্রেরণা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবির বিরাট সাফল্যকে মোদীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসাবে নিবেদন করেছেন জাফর। ছবির সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে যেভাবে মোদী সরকার ইরাকে ইসলামিক স্টেটের কব্জায় বন্দি হওয়া ৪৬ ভারতীয় নার্সকে মসৃণ অপারেশনের মাধ্যমে রক্ষা করেছিল, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়েই তিনি এই ছবিতে হাত দিয়েছেন। বিশেষত মোদী স্বয়ং যেভাবে গোটা বিষয়টি মোকাবিলা করেছেন, তাতে মুগ্ধ হয়ে তিনি ঠিক করেন, সিনেমা বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
জাফর বলেছেন, যখন বিরাট ঘটনাটি ঘটে, তখন দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে সঙ্গে নিয়ে ১০ দিন একটানা কাজ করে ইরাক থেকে সব ভারতীয় নার্সকে উদ্ধার করিয়ে আনেন। ঘটনাটি আমায় অনুপ্রাণিত করে। আমি কাহিনি লিখতে শুরু করি। সেটাই রূপ নেয় টাইগার জিন্দা হ্যায়-তে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, ছবিতে পরেশ রাওয়ালের চরিত্রটি সলমন অর্থাত টাইগারকে প্রশ্ন করছে, অভিযানের ব্যাপারে 'পিএম সাব' অবহিত কিনা। প্রধানমন্ত্রী ও সেই অভিযানের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ ছবিতে আসল ডায়লগ ছিল, 'মোদী জি কো পতা হ্যায়?' তবে ছবিটি ফিকশন নির্ভর হওয়ায় সঙ্গত কারণেই সেন্সর বোর্ড সেই ডায়লগ বদলে 'পি এম সাব' করতে বলে আমাদের। আমরা সেটা মেনে নিই।
পরিচালক কবীর খানের ২০১২-র ছবি 'এক থা টাইগার' এর সিক্যুয়েল হিসাবে তৈরি 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'-এ ৫ বছর বাদে ফের জুটি বেঁধে দুর্দান্ত সাড়া ফেলেছেন সলমন, ক্যাটরিনা। সলমনের কেরিয়ার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ছবিটি সবচেয়ে দ্রুত ১৫০ কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড করেছে। ব্যবসার অঙ্কে সলমনের ১২ নম্বর ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া ছবি এটি।