রুমা পাল,  কলকাতা: কার্যত লকডাউনে টলিপাড়ার সিরিয়ালের শ্যুটিং-এও ওয়ার্ক ফ্রম হোম। প্রযোজকদের একাংশের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। সংশ্লিষ্ট সিরিয়ালের প্রযোজক ও চ্যানেলকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে ফেডারেশন। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।


সন্ধে গড়ালেই মেগা সিরিয়ালের দাপটে জমজমাট ড্রয়িং রুম।কিন্তু কার্যত লকডাউনের গেরোয় নতুন এপিসোডের ভাঁড়ার বাড়ন্ত। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকেই টলি পাড়ায় বন্ধ শ্যুটিং।বেশকিছুদিনের এপিসোড ব্যাঙ্কিং থাকলেও তা এখন শেষের মুখে। এরই মধ্যে কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় এখন মাথায় হাত প্রযোজক, কলা-কুশলী থেকে টেকনিশিয়ানদের।


 করোনাকালে অন্যান্য পেশায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার।কিন্তু শ্যুটিং কীভাবে বাড়ি থেকে সম্ভব? সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার পথে হেঁটেছে বেশ কয়েকটি সিরিয়াল কর্তৃপক্ষ।একেবারে নতুন এপিসোডের জোগান জারি রাখতে বাড়ি থেকেই শ্যুটিং করে চ্যানেলের কাছে পাঠাচ্ছেন কলা-কুশলীরা।


 আর এই সিদ্ধান্তের জেরেই বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত টলিপাড়া। বাড়ি থেকে শ্যুটিং-এ প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। তাদের দাবি, এতে সিরিয়ালের মান পড়ে যাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন মেকআপ আর্টিস্ট ও টেকনিশিয়ানরা।ফেডারেশনের দাবি, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস শনিবার বলেছেন, আলোচনা না করেই শ্যুটিং করা হয়। আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল,কাল এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক, জি আর সুশান্ত দাসকে চিঠি দিয়েছি, আমরা কড়া পদক্ষেপ নেব।


 যদিও এতে ভুল কিছু দেখছে না প্রযোজকদের একাংশ।  প্রযোজক সুশান্ত দাস বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর জন্য এই চেষ্টা, চ্যানেল চলছে, ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে, কারোর ক্ষতির জন্য নয়। ফেডারেশনও বুঝবে।টেকনিশিয়ানদের বঞ্চনা করা হচ্ছে না, আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।


 বাড়ি থেকে শ্যুটিং-য়ের ক্ষেত্রে ভালো-মন্দ দুটি দিকই ভাবাচ্ছে অভিনেতা দেবকে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সিরিয়ালের প্রযোজকদের চিঠি পাঠিয়েছে ফেডারেশন। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।