কলকাতা: নীল সাদা পোশাকে আনমনে তাকিয়ে আছেন অভিনেতা। কখনও আবার সাদায় কালোয় ফুটে উঠতে তাঁর অভিব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন ফটোশ্যুটের একাধিক ছবি শেয়ার করলেন যশ দাশগুপ্ত। আপাতত টলিউডে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু তাঁর ও নুসরত জাহানের সম্পর্ক। তবে সেই বিষয়ে মুখে কুলুট এঁটেছেন অভিনেতা। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ক্যাপশানে রইল বেঁধে বেঁধে থাকার ইঙ্গিত।


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ৩টি ছি শেয়ার করেছেন যশ। ক্যাপশানে লিখেছেন, 'আমরা তখনই শক্তি পাই যখন আমরা একসঙ্গে থাকি। আর বিচ্ছেদ আমাদের দুর্বল করে দেয়।' নুসরত ও তাঁর একসঙ্গে থাকাকেই কি শক্তি বলে উল্লেখ করলেন তিনি? উত্তর অজানা।



সদ্য ছোট্ট খুদেদের চমক দিতে একটি হোমে পৌঁছে গিয়েছিলেন যশ দাশগুপ্ত। সদ্য বাবা হয়েছেন তিনি। পরিবারের নতুন সদস্যকে নিয়ে আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন ঈশান-জনক। তারপরেও ভুলে গেলেন না বাবা-মা হারা একরত্তিদের কথা। প্রেরণা অনাথ আশ্রমের খুদেদের হঠাৎ চমক দিতে সেখানে পৌঁছে গেলেন যশ। রুপোলি পর্দায় নায়ককে সামনে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা কচি-কাঁচারাও। 


৬ বছর বয়স থেকে ১৮ বছর বয়সি মেয়েদের আশ্রয় দিয়েছে প্রেরণা। এদিন ওই হোমে এসে যশ জানতে পারেন, ওখানে থাকা অধিকাংশ খুদেই তাঁর ভক্ত। তাদের সঙ্গেই অনেকটা সময় কাটান অভিনেতা। পায়ে পায়ে পৌঁছে যান তাদের ঘরে। সেখানে তাঁর কাছে আবদার জানানো হয় ছবির সংলাপ বলার জন্য। কখনও আবার আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছোটরাই বলে ওঠে যশের ছবির সংলাপ। যশ প্রশ্ন করেন, সবাই চকোলেট ভালোবাসে কি না! অবাক কাণ্ড, অনেকেই মাথা নেড়ে না জানায়। হাসতে হাসতে কারণ জানতে চাইলে তারা বলে ওঠে, ছবিতে যশ নাকি জানলা দিয়ে চকোলেট ফেলে দিতেন না খেয়ে। আর তাই তারা চকোলেট ভালোবাসে না। হাসতে হাসতে যশ জানান, বাস্তব জীবনে চকোলেট খেলে মোটা হওয়ার ভয় থাকলেও, চকোলেট তাঁর ভালোই লাগে।


ছোট্ট অনুরাগীদের প্রত্যেকের খাতাতেই অটোগ্রাফ করে দেন যশ। তারা বিভিন্ন উপহার সাজিয়ে রেখেছিল প্রিয় অভিনেতার জন্য। কাগজ কেটে বানানো হয় বিভিন্ন ছোট ছোট উপহার। ফ্রেমবন্দি করে তাই তুলে দেওয়া হয় যশের হাতে। সকলের হাতে পছন্দের খাবরও তুলে দেন যশ। হোমের প্রতিষ্ঠাতাদের আর্থিক সাহায্যের কথাও বলেন। ভরসা দেন, যে কোনও রকম সাহায্য়েই তাঁরা সবসময় আসবেন।