কলকাতা: মঙ্গলবার গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়। বুধবার তাঁকে আনা হবে কলকাতায়। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে অধুনা দিল্লিনিবাসী এই বাঙালি ইউটিউবারকে। সূত্রের খবর, ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। গোয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম, গুন্ডাদমন শাখা। একাধিক থানায় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও রোদ্দুর রায়ের অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর, তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। তা নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়।  


একাধিক থানায় অভিযোগ:
সূত্রের খবর, সম্প্রতি হেয়ার স্ট্রিট থানা, চিৎপুর থানা, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানা সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের নামে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ যে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর নামে এবং বিভিন্ন নেতাদের নামে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্যের করেছেন রোদ্দুর রায়। তারপর থেকেই এই ইউটিউবারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তাঁর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। গোয়ায় যায় কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ও গুন্ডাদমন শাখার একটি টিম। তারাই গোয়া থেকে রোদ্দুরকে গ্রেফতার করে। 


রোদ্দুর রায়ের নামে নালিশ করা হয়েছিল একাধিক তৃণমূল নেতার তরফে। কলকাতার সিপির কাছে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলছেন, 'তিনি অত্যন্ত অশ্রাব্য ভাষায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম সহ একাধিক মন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করছেন। আমার মনে হয়েছিল এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আমি ট্যুইট করেছিলাম সেইসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও জানিয়েছিলাম। কলকাতা পুলিশ আমায় আশ্বাস দিয়েছিল তাঁরা বিষয়টি দেখবেন।' 


আরও পড়ুন: ঝালদাকাণ্ডে রাজ্য কি সুপ্রিম কোর্টে? আগেই ক্যাভিয়েট দাখিলের আবেদন পরিবারের