নয়াদিল্লি : লোকসভা ভোটে লাক্ষাদ্বীপ থেকে মাত্র ২০১টি ভোট পেয়েছে বিজেপি ? সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই দাবি করেছেন একাধিক ইউজার।
ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ। এখানে ৯৬ শতাংশ মানুষই মুসলিম। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, এখানকার অধিকাংশ মানুষই বিজেপিকে ভোট দেননি।
ফ্যাক্ট চেক-
কিন্তু, এই দাবি কি সত্যি ? এনিয়ে অনুসন্ধান চালায় NewsMeter। তাতে উঠে আসে, সোশ্যাল মিডিয়ার দাবিটি বিভ্রান্তকর। কারণ, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে লাক্ষাদ্বীপে কোনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। পরিবর্তে, তারা NDA-র জোটে থাকা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে সমর্থন জানায়। যারা লাক্ষাদ্বীপে প্রার্থী দিয়েছিল।
NewsMeter কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখে গত ৪ জুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে The Hindu। সেই প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, লাক্ষাদ্বীপে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কংগ্রেস প্রার্থী ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA-র মধ্যে। এখানে NCP টিপি ইউসুফকে প্রার্থী করে। এদিকে, I.N.D.I.A ব্লকের অন্তর্ভুক্ত কংগ্রেস ও NCP (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) এখানে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নামে।
শেষমেশ দেখা যায়, কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ হামদুল্লা সঈদ জয়লাভ করেছেন। NCP (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) -র প্রার্থী মহম্মদ ফৈজাল তাঁর কাছে ২ হাজার ৬৪৭ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। NCP-র টিপি ইউসুফ মাত্র ২০১টি ভোট পান। যেটা কেন্দ্র করে অনেকে বলছেন, লাক্ষাদ্বীপে বিজেপি ২০১ টি ভোট পেয়েছে।
এই তথ্যটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও চেক করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, লাক্ষাদ্বীপে কংগ্রেস প্রার্থী হামদুল্লা সঈদ পেয়েছেন ২৫,৭২৬ ভোট। NCP-SP প্রার্থী মহম্মদ ফৈজাল পেয়েছেন ২৩,০৭৯ ভোট এবং NCP প্রার্থী ইউসুফ টিপি পেয়েছেন ২০১ ভোট। অন্যদিকে, নির্দল প্রার্থী কইয়া পেয়েছেন ৬১টি ভোট।
লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলছে, ২০১১-এর আদমসুমারি অনুসারে সেখানে মুসলিমের সংখ্যা ৯৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী মোদির লাক্ষাদ্বীপে সফরের প্রসঙ্গ তুলে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও লাভ করতে পারল না বিজেপি। যদিও এবার ভোটে সেখানে কোনও প্রার্থী দেয়নি গেরুয়া শিবির।
ডিসক্লেমার : এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে NewsMeter এবং শক্তি কালেক্টিভের (Fact Check : Fact Check : Did BJP get only 201 votes in Muslim-majority Lakshadweep ?) অংশ হিসাবে প্রতিবেদনটির অনুবাদ করেছে এবিপি লাইভ বাংলা।