লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ (Loksabha Elections 2024) হয়েছে সোমবার। আর বাকি তিন দফা। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলের একজন নেতাকে আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই নেতার গলায় একটি গেরুয়া রঙের উত্তরীয় ঝোলানো রয়েছে। যা দেখে তিনি যে একজন বিজেপি নেতা (BJP leader) তা বোঝা যাচ্ছে।


দাবি


ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করার সময় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে প্রতিটি রাস্তাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে আর এই মানুষগুলো ৪০০ পার করার কথা বলছেন। দাবিটি কি সত্যি? না এই দাবিটি সত্যি নয়। কারণ এই ভিডিওটি ২০২১ সালের, বর্তমানে চলা লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।




 


ভিডিওটি দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে


সত্যি ঘটনাটি হল বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য অনির্বাণ গাঙ্গুলিকে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের ইলমবাজারের স্থানীয় মানুষরা আক্রমণ করেছেন। আর এই ভিডিওটি ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে। 


কীভাবে আমরা সত্যিটা খুঁজে পেলাম?


ভাইরাল ওই ভিডিওটি বেশ কয়েকটি ফ্রেমে ভেঙে নিয়ে খতিয়ে দেখি আমরা। আর যখন আমরা গুগল লেন্সের সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চ অপশনের মাধ্যমে ভিডিওটি দেখি তখন জানতে পারি যে ব্যক্তিটি হলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।


দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রেও এই ঘটনা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি গ্রামে ভোট প্রচারে যাওয়ার পর সেখানকার কিছু লোক লাঠি ও লোহার ডাণ্ডা নিয়ে তাঁকে তাড়া করেছে। নন্দীঘোষা নামে একটি ওড়িয়া চ্যানেলেও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।




এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইউটিউবেও একই কী ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করি আমরা। তাতে আমরা দেখতে পাই ওই ঘটনার সম্পূর্ণ ভিডিওটি সংবাদ প্রতিদিনের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা এও দেখতে পাই যে বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে মানুষকে জানিয়েছেন ইলামবাজারে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তিনি ঠিক আছেন। 




আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Fact Check: ভোট পেতে ফোনে ফ্রি রিচার্জ দিচ্ছেন মোদি-রাহুল গান্ধী? এর কোনও সত্যতা আছে?


ডিসক্লেমার : এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে দ্য কুইন্ট এবং শক্তি কালেক্টিভের অংশ হিসেবে প্রতিবেদনটির অনুবাদ করেছে এবিপি লাইভ বাংলা।