PIB Fact Check: সমাজমাধ্যমে তুমুল ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শক্তিকান্ত দাস একটি বিনিয়োগের স্কিমের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এই স্কিমে (PIB Fact Check) বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। এই ভিডিয়োতে শক্তিকান্ত দাসকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে এই স্কিমে একবার মাত্র ২১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে আর এর বিনিময়েই আপনি প্রতিদিন পেতে পারেন ৬০ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ ২১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আপনি এক মাসেই পাবেন ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।  

Continues below advertisement

আর এই ভিডিয়ো যা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা সম্পর্কে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তাদের এক্স হ্যান্ডলে সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছে যে এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। ডিজিটালি মডিফাই করে এই ভুয়ো ভিডিয়ো বানানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের পিআইবি পরামর্শ দিয়েছেন যে এই ধরনের বিনিয়োগ স্কিমে যাতে কেউ টাকা না জমা করেন, কারণ এই ধরনের স্কিমে টাকা রাখলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন।

সমাজমাধ্যমে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে এই একটি ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে শক্তিকান্ত দাসের এই ভিডিয়ো সম্পূর্ণ ভুয়ো। আর এই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ছবিতে শক্তিকান্ত দাসকে দেখা গেলেও যে কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে তা তাঁর নয়। ফলে এই ভিডিয়োকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা ঠিক নয়। পুরোটাই এডিট করে বানানো হয়েছে এই ভিডিয়ো।

Continues below advertisement

 

ইউটিউবেও ছড়িয়েছে ভুয়ো ভিডিয়ো

কিছুদিন আগেই ইউটিউবে রাজা টেকনোলজিস টিপস নামের একটি চ্যানেল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল যে কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী বেকার ভাতা যোজনা ২০২৫ চালু করতে চলেছে যেখানে দেশের সমস্ত বেকার যুবক-যুবতীদের মাসে ৫০০০ টাকা থেকে ৯০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হবে। এই দাবিও সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী বেরোজগারি ভত্তা যোজনা নামে কোনও প্রকল্প শুরু করেনি দেশে।

এর আগেও ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে শক্তিকান্ত দাসের একটি ভুয়ো ভিডিয়ো বা ডিপফেক ভিডিয়ো সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। আরবিআই কোনো বিনিয়োগ নিয়েই আর্থিক কোনো পরামর্শ দেয় না, এই মর্মে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এমনকী জানানো হয়েছে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা এই ধরনের কোনো কার্যকলাপকে সমর্থন করে না এবং এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় সংস্থার কেউ।