LIVE UPDATES: জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি 'খুব স্পর্শকাতর', স্বাভাবিকতা ফেরাতে সময় দিতে হবে, বলল সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রকে এখনই কোনও নির্দেশ দিতে নারাজ
কংগ্রেস কর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা মামলাটি করেছেন। বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এম আর সাহ ও অজয় রাস্তোগির বেঞ্চে শুনানি চলবে।
জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগ পরিষেবা ফের চালু করা সহ যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে সম্মত হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তেহসিনের পিটিশনের প্রেক্ষিতে রাতারাতি কিছু করা সম্ভব নয়, কেন্দ্রকে স্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রত্যাবর্তন সুনিশ্চিত করার জন্য সময় দিতে হবে বলে অভিমত জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ কংগ্রেস কর্মী তেহসিন পুনাওয়ালার পেশ করা পিটিশনের ওপর এ কথা বলেছে। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতিদ্বয় এম আর শাহ ও অজয় রাস্তোগি। পুনাওয়ালা বলেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে কেন্দ্র সেখানে যেসব বিধিনিষেধ চাপিয়েছে ও ‘অন্যান্য দমনমূলক পদক্ষেপ’ করেছে, সেগুলি তুলে নিতে বলা হোক। শুনানি চলাকালে বেঞ্চ জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থা ‘খুব স্পর্শকাতর’ বলে অভিমত জানিয়ে বলেছে, কেন্দ্রকে সেখানে স্বাভাবিকতা ফেরাতে কিছুটা সময় দিতেই হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও প্রাণহানি হবে না, এটা অবশ্যই সুনিশ্চিত করা উচিত বলেও অভিমত জানিয়েছে বেঞ্চ।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা খর্ব করা ও নানা ‘দমনপীড়নমূলক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আজ শীর্ষ আদালতে শুনানি। কংগ্রেস কর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা মামলাটি করেছেন। বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এম আর সাহ ও অজয় রাস্তোগির বেঞ্চে শুনানি চলবে।
আর একটি আবেদন করেছেন কাশ্মীর টাইমস পত্রিকার এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিন। তাঁর দাবি, ৩৭০ খর্ব করার পর কাশ্মীরে সাংবাদিকদের কাজকর্মে নানা কড়াকড়ি চলছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। পুনাওয়ালার অবশ্য বক্তব্য, ৩৭০ ধারা নিয়ে তিনি কোনও মতামত দিচ্ছেন না, তাঁর শুধু দাবি, কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নেওয়া হোক, ফোন লাইন খুলে দেওয়া হোক, খোলা হোক ইন্টারনেট ও নিউজ চ্যানেল। এছাড়া দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির মুক্তিরও দাবি করেছেন তিনি।
এছাড়া কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন বসানোর আবেদন করেছেন তিনি।
পুনাওয়ালার বক্তব্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা খর্ব করে কেন্দ্র সংবিধানের ১৯ ও ২১ নম্বর ধারায় স্বীকৃত নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে। অকারণে জারি করা হচ্ছে কারফিউ, সাবধানতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ফোন লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ ইন্টারনেট। সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ, স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলছে না, স্কুল, কলেজ, অফিস, দোকানপাট- সব বন্ধ রয়েছে। কার্যত ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্যকে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতানেত্রীদের গ্রেফতার করার অর্থ আছে কিন্তু মূল ধারার রাজনীতিবিদদের সঙ্গে একই ব্যবহার করা হচ্ছে কেন। প্রশ্ন তাঁর আবেদনে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। জম্মু কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করেছে তারা। মনোহরলাল শর্মা নামে জনৈক আইনজীবীও একই আবেদন করেছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -