কলকাতা: শীতকাল পড়লেই মানুষের মতোই সারমেয়দেরও (Dogs) নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সর্দি, কাশি, জ্বর এবং আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। শুধু শীতকাল নয়, বছরের অন্যান্য় সময়েও কুকুরদের কাশতে দেখা যায়। কী কারণে হয় এমন?


সারমেয়দের কাশির কারণ-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নানা কারণে কাশির সমস্যা দেখা দেয় কুকুরদের। হতে পারে, কোনও অস্বাভাবিক গন্ধের জন্য কুকুরটি বিরক্ত হয়ে রয়েছে। এছাড়াও ঠান্ডা লাগার কারণে ওদের নাক বন্ধ রয়েছে। সেই কারণে কাশতে দেখা যায়।


২. যদি কুকুরদের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যা দেখা যায়, তাহলে কাশি হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, কাশির সমস্যা থাকা অন্য কোনও কুকুরের সংস্পর্শে এলেও এই সমস্যা দেখা যায়।


৩. একসঙ্গে এক জায়গায় অনেক কুকুর থাকলে একজনের থেকে অন্য জনের মধ্যে কাশির সমস্যা ছড়াতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কাশির সমস্যা না থাকলেও এক জায়গায় অনেক কুকুর থাকলে অক্সিজেনের ঘাটতিতেও কাশি হতে পারে।


আরও পড়ুন - Gajar Ka Halwa: শীতকাল পড়তেই গাজরের হালুয়া খাচ্ছেন? উপকার হচ্ছে নাকি ক্ষতি?


৪. নিউমোনিয়ার সমস্যা হলে কুকুরদের কাশি হয়। নিউমোনিয়া অথবা ভাইরাল কোনও জ্বর থেকেও কাশি হতে পারে।


প্রসঙ্গত, প্রজাতি অনুযায়ী কুকুরের গায়ের লোমের হেরফের হয়। কারও লোম পাতলা হয়, কারও ঘন। যাদের গায়ের লোম পাতলা, তাদের ক্ষেত্রে এই সময়ে সোয়েটার ব্যবহার খুবই জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে, যদি সারমেয়কে বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে অবশ্যই সোয়েটার পরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।  বিশেষজ্ঞদের মতে, কুকুরকে শীতকালে খুব সকালে কিংবা সন্ধেবেলা হাঁটতে নিয়ে যাওয়া উচিৎ নয়। একটু বেলার দিকে কিংবা দুপুরের দিকে বাইরে নিয়ে যেতে পারেন। অর্থাৎ, সূর্যের আলো থাকতে থাকতে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সূর্যের আলো যেমন তাপমাত্রা দেয়, তেমনই শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও পূরণ করে। বাড়ির পোষ্য সদস্যটির জন্যও শীতকালে সঠিক বিছানার প্রয়োজন। ঠান্ডা থেকে ওদের রক্ষা করতে সঠিক কম্বল ব্যবহার করতে পারেন।  শীতকালে সারমেয়র ত্বকও আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শুষ্ক হয়। এক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে তা খসখসে লাগে। ত্বকের সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞরা নারকেল তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে, অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।