কলকাতা: ছোট থেকে বড়। কাজে মন দেওয়ার জন্য একাগ্রতা (Concentration) বৃদ্ধি খুবই জরুরি। আমাদের শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। স্বক, চুল, চোখ এবং অন্যান্য কিছুকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন নানা উপকারী উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত রাখার জন্যও রয়েছে বেশ কিছু খাবার। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্ককে সচল রাখতে, স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও পাতে রাখা দরকার এমন অনেক খাবার। অনেক সময়ই অভিভাবকেরা অভিযোগ করে থাকেন যে, পড়াশোনায় মনোযোগী নয় তাঁদের সন্তান। কিছুতেই পড়াশোনায় মন বসাতে পারছে না। আবার অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকেও বলতে শোনা যায় যে, একাগ্রতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু খাবারের (Foods) পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রতিদিনের তালিকায় রাখলে একাগ্রতা বাড়ে।
একাগ্রতা বাড়বে যে খাবারগুলি খেলে-
১. ডার্ক চকোলেট- খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই ডার্ক চকোলেটের উপকারিতাও অনেক। শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই এটি দারুণ প্রয়োজনীয়। মেজাজ সঠিক রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের এই চকোলেট খাওয়াতে পারেন। তাতে ওধের একাগ্রতা বাড়বে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
২. ডিম - ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। রোজকার খাবারের তালিকয়া সবসময়ই বিশেষজ্ঞরা ডিম রাখার পরামর্শ দেন। ডিমে থাকা উপকারী উপাদান মস্তিষ্ক সুস্থ এবং সচল রাখতে সাহায্য করে। একাগ্রতা বাড়াতে ছোট থেকে বড় সকলেরই ডিম খাওয়া দরকার।
৩. মাছ - মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছআড়াও মস্তিষ্ককে সুস্থ ও সচল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন - Tooth Pain Remedy: দাঁতে অসহ্য ব্যথা? রান্নাঘরেই রয়েছে এর সমাধান
৪. বাদাম- চিনেবাদাম, কাজু বাদাম, আমন্ড বাদাম হোক কিংবা আখরোট। সমস্ত বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ছোট থেকে বড় সকলেই এর উপকারিতা পান। এতে থাকা কপার, জিঙ্ক এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. বিনস- একাগ্রতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী খাবার বিনস। রোজকার খাবারের তালিকায় রাখলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।