কলকাতা: সফল (Successful) হতে কে না চায়। কিন্তু সফল হওয়া এতটাও সহজ কাজ নয়। জীবনে সাফল্য পেতে গেলে অনেক কষ্টকর পথ পেরোতে হয়। কাজের প্রতি একাগ্রতা, ধৈর্য, নিয়ম মেনে চলা, স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল থেকে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া, সব কিছুই সাফল্যের এক একটি সিঁড়ি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বহু মানুষই জীবনে সফল না হতে পেরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা বুঝতে পারেন না, ঠিক কী কারণে সাফল্য অধরা থেকে যাচ্ছে। তাঁদের মতে, একটু খেয়াল করে দেখলেই দেখা যাবে এমন বেশ কিছু জিনিস তাঁরা তাঁদের জীবন যাপনে করছেন, যা তাঁদের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক যে, সফল মানুষের জীবন কেমন হওয়া উচিত তাতে। কোন অভ্যাসগুলি থাকলে, সফলতা দ্রুত আসে।


সাফল্যের গোপন রহস্য-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সফল হওয়ার জন্য জীবনের প্রতিটা কাজে সঠিক পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। পরিকল্পনা যদি সঠিক না থাকে, তাহলে কোনও কাজই সঠিক ভাবে হতে পারে না। তবে, শুধু পরিকল্পনা করলেই চলবে না, তা সঠিক সময়েও করতে হবে। তাই তাঁদের পরামর্শ, কোনও কাজ করার একদিন আগে তা পরিকল্পনা করে নিন। যদিও এটাও ঠিক যে, জীবনের প্রতিটা কাজ তো আগে থেকে ভেবে চিন্তে হয় না। সেক্ষেত্রে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও রাখতে হবে। এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী চলার অভ্যাসও রাখতে হবে।


২. সফল হতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও। শরীর যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে কোনও কাজই পরিপূর্ণভাবে হওয়া সম্ভব নয়। অসুখের কারণে বারবার বাধা পড়তে পারে কাজে। তাই নজর দিন স্বাস্থ্যের দিকে। রোজকার তালিকায় রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার। করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা। যেকোনওরকম অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে।


আরও পড়ুন - Dogs Health: আপনার পোষ্য সারমেয়টি কি কাশছে? কী কারণে হচ্ছে এমন?


৩. লক্ষ্য নির্দিষ্ট রাখা খুবই জরুরি। সফল হতে গেলে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোতে হবে। ছোট ছোট করে লক্ষ্য বেঁধে নিন। আর তা পেরোতে থাকুন। তাহলেই দেখবেন আপনি বড় লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছেন।


৪. পড়াশোনার কোনও বিকল্প নেই। একজন সফল মানুষের জ্ঞানী হওয়াও প্রয়োজন। সমস্ত বিষয়ে তুখোড় দক্ষতা থাকতে হবে। মৃত্যুকাল পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, জানার কোনও শেষ নেই। আর শেখারও কোনও বয়স নেই। জ্ঞান বৃদ্ধি করতে থাকলে সাফল্য নিজে থেকেই আসবে কোনও না কোনও রাস্তা দিয়ে।


৫. প্রতিদিন কী করলেন তা দিনের শেষে লিখে রাখুন। তাহলে নিজেই নিজের ঠিক-ভুলটা দেখতে পাবেন। কোথায় সময় নষ্ট করলেন, তা নজরে পড়বে। আর তা থেকে নিজেই নিজের খামতিগুলো ছেঁটে ফেলতে পারবেন। প্রত্যেকটা দিনকে গুরুত্ব দিন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় পদ্ধতি ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।