চাণক্য নীতি অনুসারে, যে কোনও ব্যক্তির জীবনেই খারাপ সময় আসতে পারে। সেই সময়ে যিনি ধৈর্য ধরে থাকতে পারেন এবং সংযম দেখান, তিনিই সেই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারেন। এছাড়াও মানুষের জীবনের বিষয়ে আরও অনেককিছু বলেছিলেন চাণক্য। তাঁর মতে, মানুষের কোনওদিনই সেগুলি ত্যাগ করা উচিত নয়। বিশেষ করে খারাপ সময়ে সেগুলি মাথায় রাখা উচিত। বিপদ ও সঙ্কটের সময় এগুলিই মানুষকে পথ দেখায়। এগুলির সাহায্যেই মানুষ জীবনে এগিয়ে যেতে পারে এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে ফের সাফল্য পেতে পারে।
চাণক্যের মতে, খারাপ সময়ে কখনও ধৈর্য হারানো উচিত নয়। মানুষের জীবনে খারাপ সময় আসেই। তাতে দমে গেলে চলবে না। দিনের পর যেমন রাত আসে, তেমনই ভাল সময়ের পর খারাপ সময় আসেই। রাতের আঁধার কেটে গিয়ে ফের দিনের আলো ফোটে। তেমনই খারাপ সময়ও কেটে যায়। মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ এরকমভাবেই আসে-যায়। সুখ যখন কারও জীবনে স্থায়ী নয়, তখন দুঃখও স্থায়ী নয়। এই কারণে খারাপ সময়ের জন্যও মানুষের তৈরি থাকা উচিত। ধৈর্য ধরে খারাপ সময় কাটিয়ে ফেলা উচিত। যারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, তাদের জীবন সঙ্কটময় হয়ে ওঠে।
সংযমের উপরেও অত্যন্ত জোর দিয়েছিলেন চাণক্য। তাঁর মতে, খারাপ সময়ে সবারই অত্যন্ত গম্ভীর হয়ে যাওয়া উচিত এবং অত্যন্ত সংযমী হয়ে কাজ করা উচিত। খারাপ সময়ে ভুল সিদ্ধান্ত সঙ্কট বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ভেবে-চিন্তে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভাল সময় আসার অপেক্ষায় থাকা উচিত।
চাণক্য আরও বলেছেন, রাগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিশেষ করে খারাপ সময়ে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। খারাপ সময়ে মানসিক চাপের কারণে ক্রোধ স্বাভাবিক। কিন্তু ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ যাতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। খারাপ সময়ে ক্রোধ আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে। এর ফলে নতুন সমস্যা তৈরি হয়। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
চাণক্যের উপদেশ, মানুষের জীবনে যতই খারাপ সময় আসুক না কেন, কখনও অলসভাবে বসে থাকা উচিত নয়। সবসময় পরিশ্রম করে যেতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমেই খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা যায়। যদি কেউ খারাপ সময়ে সাহস হারিয়ে হতাশ হয়ে বসে পড়েন, তাহলে তাঁর খারাপ সময় দূর হবে না। সেই কারণে সবসময় পরিশ্রম করে যাওয়া উচিত।