কলকাতা: ডিসেম্বরের পার্টি, নিউইয়ার নাইটআউট মেকআপ সব নিয়ে ত্বকের অবস্থা বেহাল ? তারওপর শীতের কারণে বেড়েছে আরও সমস্যা? চিন্তা নেই, একটু যত্ন নিলেই ফের জেল্লা ফিরবে ত্বকে। দেখে নিন, কী করবেন আর কী করবেন না। 


কয়েকদিনের বিশ্রাম: কয়েকদিন ত্বককে একটু বিশ্রাম দিন প্রসাধনী (Makeup) থেকে। যতই দামী মেকআপ হোক, আপাতত তা ব্যবহার করা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দিন। ত্বকে কোনও রকম পাউডার, ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। 


স্কিন কেয়ারে নজর: শীতকালে ত্বক (Skin Care) এমনিতেই খুব তাড়াতাড়ি আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। পাশাপাশি বারবার মেকআপ ব্যবহারে আরও সমস্যা বাড়তে পারে ত্বকের। তাই এই সময়টা স্কিন কেয়ারে বেশি করে নজর দিতে হবে। সকাল এবং রাত, দু'বেলাই ত্বকের যত্ন প্রয়োজন। রোজ সকালে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।


সকালের চর্চা: সকালে ফেসওয়াস (Face Wash) ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে সেটাকে এয়ার ড্রাই হতে দেবেন অর্থাৎ তোয়ালে বা রুমাল দিয়ে মুখ মুছে না নিয়ে স্বাভাবিকভাবে মুখের মধ্যে জল শোকাতে দিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। 


ঘুম থেকে উঠে আর কী কী? সকালে মুখ ধুয়ে খানিক্ষণ পর যে কোনও টোনার ব্যবহার করুন। এরপর ময়েশ্চরাইজার মাখুন। রাস্তায় বেরনোর না থাকলে অ্যালোভেরা জেলও মাখতে পারেন। তবে অ্যালোভেরা জেল মেখে সূর্যের আলোয় না যাওয়াই ভাল। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।


সানস্ক্রিন জরুরি: রোদে বেরনোর আগে মুখে সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগাবেন। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শীতেও ত্বকের জন্য একইরকম ক্ষতিকারক। শীতকালে অনেকেই এটি এড়িয়ে যান। তবে ত্বকের জন্য এটি ক্ষতিকারক।


ময়েশ্চরাইজারের গুরুত্ব: যাঁরা মুখে নিয়মিত ওয়াক্স করেন তাঁরা বেশি করে ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করবেন। টোনার ব্যবহারও জরুরিয কারণ ওয়াক্সে ত্বকের আর্দ্রতা তাড়াতাড়ি কমে যায়। তাই এই দিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।


দীর্ঘ সময়ে এসিতে থাকতে হয় যাঁদের, তাঁরা সঙ্গে ময়েশ্চরাইজার রাখুন। যাদের ত্বক ওয়েলি তাঁরা জেল বেসড ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করতে পারেন।  


দিন শেষের পরিচর্চা: সারাদিন পর রাতে অবশ্যই ফেসওয়াস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। মেকআপ করলে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার জরুরি। অন্যথায় লোপকূপে তা জমে ত্বকের ক্ষতি করবে। রাতে অবশ্যই হালকা কোনও ক্রিম ব্যবহার করুন। 


পেটে খেলে ত্বকে সয়: তবে মনে রাখতে হবে স্কিন কেয়ার দীর্ঘস্থায়ী নয়। ত্বকের যত্ন নিতে হবে একেবারে ভিতর থেকে। স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। শীতের মরশুমি সবজি, ফল খান বেশি করে।  পর্যাপ্ত জল পান করুন। পাশাপাশি দুধ, ঘি, মাখন খেতে পারেন।


অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, তাই অবশ্যই লিপ বাম ব্যবহার করুন। স্নানের সময়ে নারকেল তেল দিয়েও ঠোঁটে মাসাজ করতে পারেন। এতেও ভাল ফল পাবেন।


বিউটি পার্লারের কেমিক্যাল দিয়ে ত্বকের চর্চা না করে চেষ্টা করুন ঘরোয়া টোটকায় ত্বকের যত্ন নিতে। শীতের সময় ত্বক অনেক বেশি সেনসেটিভ হয়ে যায়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখুন। দুধ, কাঁচা হলুদ, নিমপাতা ইত্যাদি দিয়ে ঘরোনা পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।