কলকাতা: নিমের পাতা ও ছালের গুড়ো কিংবা নিমের ডাল ঔষধিগুণে ভরপুর। প্রতিদিন নিয়ম করে  নিমের পাতা ও ছালের গুড়ো কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত মজবুত হয়।  দাঁতের রোগও সারে। নিউট্রিশনিস্টের মতে, নিমের ডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে নিমের তেল বের হয় যার শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে মুখের মধ্যে যে জীবাণু জন্মায় তা মূল থেকে নির্মূল হয়। নিম ছাড়াও বাবলাও ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম ব্রাশ করলে মুখে প্লাক তৈরি হয় না। যার ফলে মুখ গন্ধ হয় না।


মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, ব্যথা এবং ফোলা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে নিম দাঁতন আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।


দাঁতের পাশাপাশি, ত্বকের সমস্য়ার চটজলদি সমাধান হবে নিমে। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের খোসপাঁচড়া নিরাময় হয়। এছাড়াও কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে।  মাথার ত্বকে অনেক সময়ই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে।


আরও পড়ুন...


London Tour : যামিনী রায়, সত্যজিৎ রায়, গুরু দত্ত, পণ্ডিত রবিশঙ্করের উজ্জ্বল উপস্থিতি ব্রিটিশ মিউজ়িয়ামে; নজর কাড়বে কালী মূর্তিও


সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিচুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হবে। স কমাতে সাহায্য করে।


নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।নিমপাতার গুঁড়ো জলতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।


আরও পড়ুন...


হাঁটায় কমবে ওজন, কীভাবে হাঁটবেন?


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।