কলকাতা: বেলাগাম ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন সবাই। খাওয়া-দাওয়ায় লাগাম দিয়েও কমে না ওজন। এদিকে সারাদিনের ব্যস্ত রুটিনে ভারী শরীরচর্চা করার সময়ও মেলে না। এই পরিস্থিতিতে বন্ধু হতে পারে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস।
জিম ইনস্ট্রাকটারদের মতে, রোজ ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটা-চলা জরুরি। তবে এর থেকে কম হাঁটলে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্পিড ওয়াক প্রয়োজন। সঠিক পদ্ধতিতে হাঁটাহাঁটি করা গেলে প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। আবার বিরতি না নিয়ে যদি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ মাইল হাঁটা যায়, তাহলে মেদ ঝরবেই।
আরও পড়ুন...
World Bicycle Day 2023: সাইকেলকে বাংলায় কী বলে জানেন? অধিকাংশ মানুষই এর উত্তর দিতে পারেন না
দুলকি চালে নয় কিন্তু ওজন কমনে না। হাঁটতে হবে বেশ হন্তদন্ত হয়ে। Brisk Walking-এর ফলে সহজেই কমতে পারে ওজন। প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে অন্তত আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা হাঁটা যেতে পারে। হাঁটার সঙ্গে প্রয়োজনে অল্প ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করা যেতে পারে। প্রথম থেকে চাপ নিতে নেই, অল্প অল্প সময় নিয়ে অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। ক্যালোরি খরচ হওয়ায়, ওজন কমায় সহায়ক। তবে খেয়াল রাখতে হবে ডায়েটেও।
এ প্রসঙ্গ বলে রাখা ভালো হাঁটলে বা দৌড়লে শুধু যে ওজন কমবে তাই নয়, আপনার হার্টকেও সুস্থ রাখবে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ মিনিট দৌড়লে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।যাঁদের ব্লাড সুগার বেশি, তাঁদের জন্যও হাঁটা বা দৌড়ানো লাভজনক। আবার চিকিৎসকরা জানান, বয়স্কদের হাঁটা চলা বা দৌড়ানো উচিত। তাহলে তাঁদের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ, হাঁটলে বা দৌড়লে পায়ের পেশি শক্ত হয়। হাঁটুর ব্যথা কমে।
হাঁটার একটা নির্দিষ্ট ধরন দাঁড়িয়ে গেলে দিন দিন একই দূরত্বে হেঁটেও আপনার ক্যালরি পোড়ানো কমে যেতে থাকবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছুদিন পর পর শরীরকে নতুন কিছু ব্যায়াম করতে শুরু করুন। প্রথমে কিছুদিন হাঁটার সঙ্গে একটু করে দৌড়ান বা একটু করে যোগব্যায়াম করুন। এগুলোতে একঘেয়ে হয়ে গেলে কিছুদিন হাঁটার পাশাপাশি ভারোত্তোলন করুন বা একটু টেনিস বা ব্যাডমিন্টন খেলুন। এভাবে আপনার ওজন যেমন কমবে, তেমনি হাঁটাহাঁটিতেও একঘেয়েমি আসবে না।
আরও পড়ুন...
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনে চিকিৎসকের থেকে অবশ্যই পরামর্শ নিন।