Apple Watch Saved Young Woman: রাত তখন প্রায় বারোটা। হঠাৎ করেই বুকে যেন ব্যথা হতে থাকে। ৩৫ বছর বয়সি স্নেহা সিংহার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছিল সম্প্রতি। কিন্তু এই ব্যথাকে প্রথমে আমল দেননি তিনি। ভেবেছিলেন হয়তো প্যানিক অ্যাটাক যা মাঝে মাঝেই হয়ে থাকে তাঁর। এবারেও তেমনটা হয়েছে। কিন্তু সেই ভাবনাই ভুল প্রমাণিত হয়। ভুল প্রমাণ করে দেয় অ্যাপলের একটি ঘড়ি। এই ঘড়িটি হাতে পরলে হার্টের স্পন্দন সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। আর সেই তথ্য থেকেই ঘড়িটি জানায় আর্টিরিয়াল ফাইব্রিলেশন হয়েছে তাঁর। যা একটু সময় নষ্ট করলে রীতিমতো প্রাণঘাতী হতে পারে।
ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন ?
বুকে ব্যথাকে প্রথম আমল দেননি পেশায় পলিসি রিসার্চার স্নেহা। কিন্তু ব্যথা হতে থাকলে তিনি কিছু ব্যায়াম করা শুরু করেন। ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করেন ওই মুহূর্তে। কিন্তু সেই ব্যায়াম আদতে কাজে আসেনি। এর পর অ্যাপলের ঘড়িটি পরে নেন স্নেহা। সেখানেই প্রথমে বিপদের সংকেত পান। ঘড়িটি জানায়, তার হার্টের গুরুতর সমস্য়া হয়েছে। যা এই মুহূর্তে চিকিৎসা করানো দরকার। কিন্তু তখন মাঝরাত বলে ঘড়ির পরামর্শকে গুরুত্ব দেননি স্নেহা। কিন্তু ঘড়ি ফের তাকে সতর্কবার্তা পাঠায়। হার্টের স্পন্দন অনিয়মিত রয়েছে বলে জানায়। তখন আর ঝুঁকি নেননি স্নেহা। দিল্লির বাসিন্দা ওই তরুণী বসন্ত কুঞ্জের ফর্টিস হাসপাতালে ছুটে যান চিকিৎসার জন্য।
রক্তচাপ মাপা যাচ্ছিল না
পরিস্থিতি ছিল বেশ সঙ্গীন। মাপা যাচ্ছিল না স্নেহার রক্তচাপ। কারণ অ্যাপল ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, তখন হার্টের স্পন্দন ২৩০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইলেকট্রিক শক দিতে হয় স্নেহাকে। তিন বার ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় তাঁকে। প্রথম দুবার ৫০ জুল ও পরের বার ১০০ জুলের শক দেওয়া হয় হার্টের সাইনাস রিদমকে ফিরিয়ে আনতে। অবশেষে সফল হন চিকিৎসকরা।
কী বলছেন স্নেহা
স্নেহার কথায়, নিজে থেকে এই গুরুতর রোগের আন্দাজ পাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তাঁর মৃত্য়ু হতেই পারত বলে দাবি করেন স্নেহা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে অ্যাপলের ওয়াচই তাঁর প্রাণরক্ষা করল বলে জানালেন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Health News: শিশুর ফুসফুসে কীভাবে গেল LED বালব ?