কলকাতা: ছোট থেকে সকলেই জানেন, দুধ খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে, হাড় থাকে মজবুত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। দুধের বিকল্প কিছু নেই। এর উপকারিতা অনেক। সেগুলি কী কী, আজ দেখে নেওয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত দুধ পান করা উচিত। অনেকেই হয়তো জানেন না দুধ হল ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, নিয়াসিন, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের ভান্ডার। প্রতিদিন গরম দুধ পান করলে আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত হয়।অনেকে দুধকে সুস্বাদু করতে বিভিন্ন স্বাদের সিরাপ ব্যবহার করেন। জিভের স্বাদ বদলাতে দুধের মধ্যে মধু বা চকোলেট মেশানো যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে গরম দুধ পান খুবই উপকারী। সারাদিনের মানসিক চাপও সঙ্গে নিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে হালকা গরম দুধ পান করলে এই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ পান করলে ভালো ও পরিপূর্ণ ঘুম আসে। প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে লো-ফ্যাট দুধ খেলে শরীরের কোলেস্ট্রল লেভেল অনেকটাই কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
দুধের ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে সেরোটনিনের সূত্রপাত ঘটায়। এটা মস্তিষ্কে যে সংকেত পাঠায়, তা স্নায়বিক উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করে। হয়তো এ কারণে দুধ খেলে সহজে ঘুম আসে।
আরও পড়ুন...
বারবার অসুখে পড়ছেন? হাতের নাগালেই ইমিউনিটি বাড়ানোর অব্যর্থ উপায়, জানিয়ে দিলেন পুষ্টিবিদ
দুধে যে প্রোটিন থাকে তা খারাপ কোলেস্ট্রেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্ট্রলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। অনেকেই ত্বকের কোমলতা বাড়াতে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে দুধের সর মুখে মাখেন। দুধ খেলেও কিন্তু ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং তারুণ্যে ভরপুর থাকে।
উল্লেখ্য়, আর দুধ যদি কোনওভাবে পুড়ে যায় তাহলে তাতে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে দুধ ফোটানো ভালো ঢিমে আঁচে। দুধ গরম করার সময় পারলে একটা হাতা দিয়ে নাড়াতে থাকবেন। বিশেষ করে সেটা যদি কাঠের হাতা হয় তাহলে দুধের উপাদান সহ পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial