কলকাতা: শরীর ঠিক রাখার জন্য খাদ্যগ্রহণ জরুরি। তবে তার চেয়েও জরুরি সঠিক সময়ে খাওয়া। চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, স্থুলত্বের অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়মিত সময়ে খাওয়া দাওয়া করা। যা গোটা শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমকে ব্যহত করে। হজমের সমস্যা হয়। আর বেড়ে যায় শরীরের ওজন।


খাবারের সঠিক সময়

অনেক সময় কাজের চাপে আমরা প্রাতঃরাশ ও মধ্যাহ্নভোজের সময় পিছিয়ে দিই। কখনও অফিস যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে সকালের জলখাবার না খেয়েই বেরিয়ে পড়ি। কখনও আবার অফিসের কাজের চাপে লাঞ্চ দেরিতে করি। এবং ধীরে ধীরে এটাই আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এতে আমাদের শরীরের ওজন তো বাড়েই, বাসা বাধে একাধিক রোগব্যাধি। চিকিৎসকেরা বলেন, বারে বারে খান, অল্প অল্প খান। অর্থাৎ, খাবার এড়িয়ে যাবেন না। আবার একবারে বেশিও খাবেন না। রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ সারুন।

কখন লাঞ্চ করা বিপজ্জনক

আমেরিকায় একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, দুপুর তিনটের পর লাঞ্চ করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বেশিক্ষণ অভুক্ত থাকাও বিপজ্জনক। দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের ফ্যাটকে বার্ন করে পেরিলিপিন প্রোটিন। দুপুর তিনটের পর লাঞ্চ করলে খিদের চোটে অনেক দ্রুত খেয়ে ফেলেন সকলে। তাতে পেরিলিপিন প্রোটিনের কার্যকারিতা কমে যায়।

কখন খাওয়া স্বাস্থ্যকর

সকালের জলখাবার সেরে ফেলুন ৯টার মধ্যে। লাঞ্চ করে নিন ৩টের মধ্যে। চিকিৎসকেরা বলেন, ১টা নাগাদ লাঞ্চ সবচেয়ে ভাল। আর ডিনার সারুন রাত ৮টার ভেতর। এতে রক্তে শর্করা-সহ সমস্ত উপকরণের ভারসাম্য রক্ষিত হয়। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, আপনার সারাদিন যত ক্যালরি দরকার হয় তার ১৫ শতাংশ ব্রেকফাস্টে, ৫০ শতাংশ লাঞ্চে, ১৫ শতাংশ সান্ধ্যকালীন খাবারে ও ২০ শতাংশ ডিনারে খাওয়া উচিত।