কলকাতা: খাওয়ার টেবিলে নুনের সঙ্গে আরও একটি যে জিনিস থাকে তা হল গোলমরিচ। খাবারে নুনের আধিক্য নানা শারীরিক সমস্যা কারণ, তা বারবার বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু গোলমরিচ? স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গোলমরিচের ভূমিকা কী? তা কতটা উপকারী?
ভারতীয় নানা পদে গোলমরিচের (Black pepper) ব্যবহার হয়ে থাকে। নানাভাবে ব্যবহার হয় এই মশলা। শুধু খাবারই নয়। তার সঙ্গেই আয়ুর্বেদিক ওষুধেও গোলমরিচের ব্যবহার রয়েছে। ভারতের পাশাপাশি চিনেও প্রাচীন কাল থেকে ওষধিগুণের জন্য গোলমরিচের কদর রয়েছে। ঠিক কী কী গুণ রয়েছে গোলমরিচের?
ভরপুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট
free radicals--মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটি। শরীরে কোষের ক্ষতি করে থাকে। স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য free radicals তৈরি হয় শরীরে। এছাড়াও দূষণ, নেশার অভ্যাসের কারণেও free radicals তৈরি হয় শরীরে। শরীর বয়সের ছাপ পড়া, প্রদাহজনিত সমস্যা এমনকী ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায় এর কারণে। এই সমস্যা রুখতেই কাজ করে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট (Anti-oxidant)। গোলমরিচের piperine নামে একটি যৌগ থাকে। যেখানে অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্টের গুণাগুণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রদাহ রুখতে কার্যকরী
আর্থারাইটিস (Arthiritis), যেকোনও ব্যথা বা মধুমেহ রুখতেও কার্যকরী গোলমরিচ। যেকোনও ধরনের Chronic inflammation রুখতে পারে গোলমরিচে থাকা যৌগ। ইঁদুরের উপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, piperine ব্যবহারে গাঁটের ফোলা ও ব্যথা কমে যায়। শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহও কমাতে পারে এই যৌগ।
রক্তে শর্করার মাত্রায় লাগাম
গোলমরিচে থাকা piperine নামক যৌগ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে শুধুমাত্র গোলমরিচ খেলে কতটা কাজ হবে তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
কোলেস্টেরলে লাগাম
রক্তে কোলেস্টেরলের (cholesterol) মাত্রা বেড়ে গেল তা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টিও করে। গোলমরিচের যৌগ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। ইঁদুরের উপর ৪২ দিন ধরে চলা একটি গবেষণায় দাবি সপক্ষে ফল মিলেছে হলে দাবি।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা
piperine মস্তিষ্কের ক্ষমতা বা brain function বৃদ্ধি করতেও সক্ষম বলে একাংশের দাবি।
আরও উপকার:
এছাড়াও গোলমরিচ শরীরে পোষকপদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্রের জন্যও উপকারী গোলমরিচ।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল স্বাভাবিক? ডিম খান নির্ভয়ে