কলকাতা: সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর, ডিমের কথা উঠলেই সবার আগে বলা যায় এই দুটি বিষয়। যাঁরা আমিষাশী, তাঁদের পুষ্টির অন্যতম উপাদান ডিম। আবার অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁরা মাছ-মাংস খান না, কিন্তু তাঁদের ডায়েটে জায়গা পায় ডিম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুরগির ডিমই প্রধান খাদ্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য নিয়ে একটি বিশেষ প্রশ্ন বারবার শোনা যায়। কোন ডিম বেশি পুষ্টিকর। কারণ, বাজারে মূলত দুটি রংয়ের ডিমের দেখা মেলে। সাদা এবং বাদামি। অনেকসময়েই মনে করা হয় বাদামি ডিম বেশি পুষ্টিকর। সত্যিই কী তাই?


কেন আলাদা রং?
বাজারে যেমন সাদা ডিম দেখতে পাওয়া যায়। তেমনই কখনও কখনও চোখ পড়ে বাদামি ডিমের উপরেও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রঙের সঙ্গে ডিমের পুষ্টিগুণের কোনও সম্পর্ক নেই। কোন জাতের মুরগি,তার উপরেই নির্ভর করে ডিমের খোলসের রং। যেমন হোয়াইট লেগহর্ন প্রজাতির মুরগির ডিমের খোলসের রং সাদা। উল্টোদিকে প্লাইমাউথ রকস বা রোড আইল্যান্ড প্রজাতির মুরগির ডিমের খোলসের রং বাদামি। আরাকুয়ানা, ডংশিয়াং-সহ বেশ কিছু প্রজাতির মুরগি রয়েছে যাদের ডিমের খোলসের রং নীলাভ বা নীলচে সবুজ রঙেরও হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুরগির পিগমেন্ট কী, তার উপরেই ডিমের খোলসের রং নির্ভর করে। 


অনেক সময় কোন পরিবেশে, কোন বয়সে মুরগি ডিম দিচ্ছে তার উপর ডিমের আয়তন, ডিমের খোলসের রঙের গাঢ়ত্ব নির্ভর করে। মুরগির ডায়েট এবং স্ট্রেসের উপরেও নির্ভর করে। অনেক সময় দেখা যায় কোনও ডিমের খোলস বাদামি রঙের। আবার কোনওটা হালকা বাদামি রং। এটি উপরিউক্ত কারণগুলির উপর নির্ভর করে। তবে এর জন্য রং একেবারে পাল্টে যায় না।


পুষ্টিগুণে হেরফের?
একাধিক ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ফলেট, আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম থাকে ডিমে। অনেক সময় অনেকে মনে করেন বাদামি রঙের ডিম, সাদা ডিমের চেয়ে পুষ্টিকর বা অনেক বেশি প্রাকৃতিক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিমের পুষ্টিগুণ প্রায় একই রকম থাকে। রং, আয়তন, গ্রেড-এর উপর নির্ভর করে না। 


তবে কীভাবে মুরগি পালন করা হচ্ছে, কী কী খাওয়ানো হচ্ছে, পরিবেশ কেমন, এর উপর ডিমের পুষ্টিগুণ নির্ভর করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন দেখা গিয়েছে যে রোদে বেশিক্ষণ থাকলে সেই মুরগির ডিমে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেশি থাকে। 

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।  


আরও পড়ুন: ভারতে প্রায় ৪০ শতাংশ আক্রান্ত ফ্যাটি লিভারে, কীভাবে চিনবেন রোগ