কলকাতা: করোনাভাইরাস (Coronavirus)। কোভিড১৯ (Covid19)। গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে গিয়েছে এই অসুখ। কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই অতিমারিতে। কত মানুষ তাঁর প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এই মারণ রোগে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিড থেকে যাঁরা সেরে উঠেছেন, তাঁদের মধ্যে আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক থেকে শারীরিক নানা অসুখের শিকার হন তাঁরা। গবেষকদের মতে, তাঁরা বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখেছেন যে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বহু মানুষের মধ্যেই বেশ কিছু মানসিক অসুখ দেখা দিচ্ছে। সে সম্পর্তে সম্প্রতি তথ্যও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
কোভিড পরবর্তী মানসিক সমস্যা-
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর প্রিয়জেনর মধ্যে কি কোনও মানসিক সমস্যা নজরে পড়ছে? তাঁরা কি কখনও কখনও কোনও অস্বাভাবিক আচরণ করছেন? এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড পরবর্তী শারীরিক অবস্থায় মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অবস্থায় উদ্বেগ ও অবসাদজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার মানসিক সমস্যা দেখা দেয় প্রচুর পরিমাণে। এছাড়াও বহু মানুষের মধ্যে পারকিনসন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাঁরা যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাতে জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বহু মানুষ, সাইকোসিস, সিজারস বা এপিলেপসি, ব্রেন ফগ এবং ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই নয়। এই অসুখ শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে মারাত্মক হারে।
বিশেষজ্ঞরা এই তথ্যে আরও জানাচ্ছেন যে, মানসিক সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে কোভিড পরবর্তী সময়ে স্নায়ুর বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত এই সমস্যা থাকতে পারে। তারপর ক্রমশ এই সমস্যা সেরে যেতে পারে বলেও সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - Durga Puja 2022: চলতি বছর কবে থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো?
গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে, কোভিড পরবর্তী মানসিক সমস্যা সেরে যাওয়ার প্রবণতা অথবা হার এক এক বয়সের মানুষের মধ্যে এক এক রকম দেখা দিয়েছে। শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা তাড়াতাড়ি কমে যাওয়ার হার দেখা দিলেও বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেরিতে সারছে, এমন উদাহরণও রয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন ভাইরাস। সম্পূর্ণভাবে ভ্যারসিন নেওয়া মানুষরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। মানসিক যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তার জন্য দ্রুত সাইক্রিয়াটিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকেরা। এই সমস্যা ফেলে রাখলে তা আরও অন্য অসুখের জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।