কলকাতা: সাদা চুল দশ মিনিটে কালো হয়ে যায়। দেখতে লাগে তরুণের মতো। এমনই সব চটকদার কথা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলি বলে থাকে। আর সেই দেখে অনেক রং কেনেন। মাথায় লাগান। চুল কালো হয় বটে। কিন্তু সেই রং বেশিদিন থাকে না। কিছু দিন পর দেখা যায় এই রং উঠে গিয়ে পাকা চুলের সাদা রং দেখা যাচ্ছে। তখন ফের সেই কালি কিনতে হয়। ফের লাগাতে হয়। ফের উঠে যায়…। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। কারণ একটাই। একবার চুল পেকে গেলে কখনই বরাবরের জন্য় কালো করা সম্ভব নয়। কিন্তু কেন তা সম্ভব নয় ? প্রথমে সেটি জেনে নেওয়া যাক।


চুল কেন কালো হয় ?


সারা বিশ্বে মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন জাতি রয়েছে। জাতি অনুযায়ী দেখা যায় গায়ের রং, চুলের রঙের তফাত। অনেকের চুলের রং সাদা হয়, অনেকের লাল, অনেকের আবার হালকা সোনালি। ঠিক তেমনই অনেকের চুলের রং কালো হয়। এগুলি আদতে জিনের কারণে হয়ে থাকে। জিনের মধ্যেই থাকে চুল কালো, সাদা, সোনালি হওয়ার চাবিকাঠি। জিনের সেই কলকাঠির জন্যই ভারতীয়দের অধিকাংশের চুল কালো হয়।


কালো চুল কেন সাদা হয় ?


কালো চুলের মূল উপকরণ মেলানিন। হেয়ার ফলিকলের মধ্যে মেলানিন থাকে। এটি চুল বেড়ে ওঠার সময় রঙের জোগান দেয়। সেই রংটি কালো। কারণ মেলানিনের রঙও তাই। মেলানিন আমাদের ত্বকেও থাকে। কিন্তু হেয়ার ফলিকলে মেলানিনের সঙ্গে মিশে যায় কেরাটিন প্রোটিন। যে কারণে চুলের রং ঘন কালো হয়। 


বয়স বাড়লে আদতে কী ঘটে ?


বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে মেলানিন উৎপাদন কমতে থাকে। ফলে হেয়ার ফলিকলে এর পরিমাণও কমতে থাকে। এই সময় নতুন চুল গজাতে থাকলে তা যথেষ্ট পরিমাণে মেলানিন পায় না। ফলে চুল সাদা হয়ে যায়।


চুল পেকে যাওয়া আটকানো যায়! 


পেকে গেলে সাদা করা যায় না বটে। কিন্তু চুল পেকে যাওয়া আটকানো সম্ভব।



  • স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি।

  • ধূমপান চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। 

  • অতিরিক্ত ওজন থেকেও পাকা চুল দেখা দিতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

  • দূষণ থেকে চুলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই কারণেও চুল পেকে যেতে থাকে।


আরও পড়ুন -  Amla Or Amla Juice: আমলকি না আমলকির রস, সুগার-প্রেশারে কোনটা খেলে বেশি লাভ ?