কলকাতা: কাজের চাপ, আর্থিক চিন্তা থেকে নানা বিষয়ে স্ট্রেস। বিভিন্ন কারণেই এই সময় লাইফস্টাইল ডিজিজ বা জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রোগের দাপট বাড়ছে। রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকাটাও তেমনই একটা রোগ। 


কোলেস্টেরল থাকলে ডায়েটে নানা পরিবর্তন আসে। বিভিন্ন জিনিস খাওয়া যায় না। অনেক সময়েই বলা হয় কোলেস্টেরল লাগামছাড়া হলে ডিম খাওয়া যাবে না। সত্যিই কি তাই? 


ডিম সহজলভ্য, তুলনায় সস্তা প্রোটিনের উৎস। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ থাকে ডিমে। শিশু থেকে বয়স্ক- বিভিন্ন বয়সের ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় ডিম। স্বাস্থ্য়ের জন্য কোলেস্টেরলও প্রয়োজনীয়, তবে তা নির্দিষ্ট পরিমাণে। ডিম ডায়েটরি কোলেস্টেরলের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। American Heart Association-এ ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলে, আমেরিকার সাবালক বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের ২৫ শতাংশ আসে ডিম থেকে। তবে কোলেস্টেরল ছাড়াও, বিভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোষক পদার্থের উৎস।


ডিম ও কোলেস্টেরলের সম্পর্ক:
হরমোন তৈরি এবং কোষ-কলা তৈরিতে ভূমিকা রয়েছে কোলেস্টেরলের। শরীরেই কিন্তু এই জিনিসটি তৈরি হয়। বাকিটা আমরা খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকি। কোলেস্টেরল মূলত ২ প্রকার। একটি হল LDL (Low Density Cholesterol) এবং অন্যটি হল HDL (High Density Cholesterol). এর মধ্যে LDL-কে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলা হয়। কারণ এটি ধমনীর দেওয়ালে জমে যায়। যা হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত একাধিক রোগের কারণ হতে পারে। 


Nutrients-জার্নালে ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি Clinically Controlled সমীক্ষা বলছে অধিকাংশ লোকের ক্ষেত্রেই ডিম খাওয়ার বিষয়টি কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির উপর তেমন একটা প্রভাব ফেলে না। অতিরিক্ত ডিম খেলে HDL, LDL-দুটিই বৃদ্ধি পায়। এই দুটির অনুপাত যখন ঠিক থাকে তখন হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয় না। American Heart Association-এর তথ্য অনুযায়ী অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট ডায়েটে থাকলে তবেই LDL-বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ডিম খেলে তা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য একমাত্র কারণ নয়। তার চেয়ে মাখন, রেড মিট এবং কিছু কিছু তেলের কারণে LDL বৃদ্ধি পাবে। 


সাদা অংশ নাকি কুসুম:
অনেক সময়েই বলা হয়ে থাকে কোলেস্টেরল লাগামে রাখতে কুসুম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সাদা অংশ খেতে। কিন্তু কুসুমেও প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং আরও একাধিক পোষক পদার্থ থাকে। এক একজনের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে তাঁর খাওয়াটা কী হবে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে তা নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পুষ্টিকর ডায়েট প্ল্যানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: কবে মকর সংক্রান্তির পুজো করবেন? ১৪ নাকি ১৫ জানুয়ারি? কবেই বা শেষে খরমাস?