কলকাতা : তিল বা আঁচিল নিয়ে মাথাব্যথা আমাদের বড় একটা থাকে না। কিন্তু অনেক সময় আমরা জানতে পারি, কারও কারও ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মামুলি আঁচিল বলে পাত্তা না দেওয়া আঁচিলই পরবর্তী কালে বিপজ্জনক হয়ে উঠল। দেখা গেল হয়ত ওই আঁচিল বা Mole আদতে ক্যান্সারাস। তবে একথা ঠিকই, বেশিরভাগ আঁচিলই নন-ক্যান্সারাস।
কোন কোন ক্ষেত্রে আঁচিল নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন , এই নিয়ে বিস্তারিত জানালেন, অঙ্কোলজিস্ট চিকিৎসক সৌরভ ঘোষ ( Dr Sourav Ghosh, Surgical Oncologist , Techno India Dama Hospital ) ।
চিকিৎসক প্রথমেই অভয় দিয়ে বললেন, বেশিরভাগ আঁচিল কিন্তু নন-ক্যান্সারাসই হয়, যার বেশিরভাগই জন্ম থেকে শরীরে থাকে। আবার কিছু আঁচিল টিন-এজ-এ হয়ত বের হয়, আবার কালের নিয়মে মিলিয়ে যায়। পিগমেন্ট মেলানোসাইট দিয়ে তৈরি একেকটি মোল। মেলানোসাইট ক্লাস্টার হয়ে একেকটি Mole তৈরি হয়। কালো, খয়েরি, লাল কানা রঙের আঁচিল হয়। সেগুলি মসৃণ ও ফ্ল্যাট হয়। অনেক আঁচিল তৈরি হওয়ার পর কিছুকাল পরে মিলিয়ে যায়। কিন্তু মোল যদি আকারে বড় হতে শুরু হয় তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কয়েকটি বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখা আবশ্যক (Cancerous moles Symptoms)।
অ্যাসিমেট্রিকাল আকার
সাধারণ তিলের আকার সিমেট্রিক্যাল হয়ে থাকে। অর্থাৎ মাঝে দাগ কাটলে দুই দিক সমান। সেক্ষেত্রে যদি কারো তিল অ্যাসিমেট্রিক্যাল আকারে উঠে থাকে, অর্থাৎ একদিক বৃত্তাকার অন্যদিক বেশি ছড়ানো, তাহলে চিন্তার বিষয় ।
বর্ডার
আঁচিল কিন্তু মোটামুটি বৃত্তাকার হয়। কিন্তু যদি আঁচিলটি অমসৃণ বা বর্ডার খাঁজকাটা হয়, তাহলে চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসককে দেখান।
রং বদলানো তিল
তিলগুলো সাধারণত একই রঙের হয়। কিন্তু সেই তিল যদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রং বদলায়। যেমন বাদামি থেকে কালো বা যদি দেখা যায় একই তিলের একেক জায়গায় একেক রং, তাহলে তা কিন্তু ক্যান্সারাস Mole ও হতে পারে।
তিলের আকার
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কি আকার বদলাচ্ছে আপনার তিলটি ? তবে সতর্ক হতেই হবে। দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ভয় না পেয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।
বিবর্তন
তিল সাধারণত মসৃণই হয়। কিন্তু এর উপরের স্তর যদি খসখস করে বা চুলকোয়, বা রক্ত বের হয়, তাহলে কিন্তু একেবারে অবহেলা করা যাবে না।
মনে রাখতে হবে, যত তাড়াতাড়ি উপসর্গ দেখে চিকিৎসকের কাছে যাবেন, তত তাড়াতাড়িই চিকিৎসা শুরু করা যাবে। সারিয়েও ফেলা যাবে। কতটা ভয়ঙ্কর ক্যান্সারাস মেল, কত তাড়াতাড়িই বা সারে, এই নিয়ে থাকছে আমাদের পরবর্তী পর্ব।
প্রশ্ন রাখুন আমাদের কাছে। স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করবেন শহরের প্রখ্যাত চিকিৎসকরা।