ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : নামে  'সুপার স্পেশালিটি'। মেটিয়াবুরুজের এই সরকারি হাসপাতালে সরকারি প্রকল্পে ছানি অপারেশন করাতে গিয়ে, কার্যত চোখের আলো হারাতে বসেছেন ২০ জন রোগী । কিন্তু কীভাবে ঘটল এই অঘটন? আদৌ কি মানা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন? এই রোগীরা আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন তো? এই প্রশ্নগুলোই এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। চিকিথসকরা নানা আশঙ্কার কথা বলছেন। কিন্তু আসলে ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? মেটিয়াবুরুজের সরকারি হাসপাতালে কী নিয়ে খামতি রয়ে গিয়েছিল? 


স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন


'স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন অনুযায়ী, ছানি অপারেশনের জন্য হাসপাতালের নির্দিষ্ট বিভাগে চারটি জোন থাকা বাধ্যতামূলক।আউটার জোন যেখানে প্রথমে রোগীকে আনা হয়। কমন এরিয়া বা মিড জোন, যেখানে রোগীকে বাইরের পোশাক ছেড়ে হাসপাতালের পোশাক পরানো হয়। অ্যাসেপটিক জোনে সব নিয়ম মেনে অপারেশন হয়। ডিসপোজাল জোনে অস্ত্রোপচারের পর যাতে সরঞ্জাম থেকে সংক্রমণ না ছড়ায় তার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া অপারেটিং রুমে বিশেষ এসি ব্যবহার করা হয়। যাতে ভাইরাস আটকাতে সক্ষম হেপা ফিল্টার থাকে। অটোক্ল্যাভ নামক যন্ত্রের সাহায্যে জীবাণুমুক্ত করা হয় অস্ত্রোপচারের সব সরঞ্জাম।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা বলছে, ওটি-তে যে জল ব্যবহার করা হয় তা জীবাণুমুক্ত কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয়। ফিউমিগেশন অর্থাৎ তিনবার অপারেশনের পরই ওটির সরঞ্জাম, দেওয়াল, টেবিল-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সোয়াব বা নমুনা সংগ্রহ করে তা জীবানুমুক্ত কিনা পরীক্ষা করতে হয়।


কী কী নিয়ম মানা হয়েছিল, কী কী হয়নি


মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কী এসব নিয়ম আদৌ মানা হয়েছিল? সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অপারেশনের জন্য যে ওষুধ ও তরল ব্যবহার হয়েছিল তাতে জীবাণু থাকতে পারে। অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, টেবিল, অপারেশন থিয়েটার সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছিল কিনা, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া, এসিতে হেপাফিল্টার থাকলেও তা কাজ করেছিল কিনা তাও নজরে রয়েছে। আপাতত মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওটি বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও পড়ুন : 


রোদেলা আকাশ হবে ভ্যানিশ, ধেয়ে আসছে কালো মেঘ, শীঘ্রই বর্ষণ শুরু এই জেলাগুলিতে 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে