Onion Price Hike: বাজারে গেলেই চোখে জল আনে পিঁয়াজের ঝাঁজ। বর্তমানে পিঁয়াজের দাম ৫০ টাকার আশেপাশে (Onion Price)। আলুর দাম ধীরে ধীরে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর দাম বর্তমানে ৩০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। শুধু বাংলা নয়, দেশ জুড়েই পরিস্থিতি অনেকটা এরকম। এর মধ্যেই খানিক স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্র। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের (Centre On Onion Price Hike)। এর ফলস্বরূপ পিঁয়াজের দামও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছে সরকার।‌


সম্প্রতি পিঁয়াজের দাম নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্রের ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রক। মন্ত্রকের ওই বিবৃতি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন খরিফ ফসলের চাষ চলতি বছরে অনেকটাই বেড়েছে। প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে ফসলের উৎপাদন। সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। আর তার জেরেই এবার দাম নাগালের মধ্যে আসতে পারে। 


আলু ও টোম্যাটোরও দাম কমবে ?


পিঁয়াজের পাশাপাশি আলু ও টোম্যাটোরও দাম নাগালের বাইরে। এই দুই সবজিরও কি দাম কমতে পারে ? মন্ত্রকের বিবৃতিতে এই বিষয়ে স্পষ্ট না জানানো হলেও এই দুটি ফসল সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, হর্টিকালচার ফসলের মধ্যে আলু ও টোম‌্যাটোর উৎপাদনও বেড়েছে। যার ফদে দাম কমার আশা কিছুটা হলেও রয়েছে।


বেড়েছে উৎপাদন


চলতি বছরে রবি শস্যের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে। যার ফলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে এইবারে দাম আবার স্বাভাবিক হতে পারে ধীরে ধীরে। কারণ সরকারের হিসেব অনুযায়ী ২৭ শতাংশ বেড়েছে বিভিন্ন খরিফ ফসলের উৎপাদন। যার ফলে দাম ফের মধ্যবিত্তের নাগালে আসতে পারে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র।


আর কী বলছে কেন্দ্রের বিবৃতি ?


পরিসংখ্যান দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে রবি শস্যের সময়েই পিঁয়াজ ৭০ শতাংশ উৎপাদন করা হয়। আর এই সময়টা হল মার্চ থেকে মে মাস। অন্যদিকে খরিফ ও বিলম্বিত খরিফ ফসলের উৎপাদন মোট উৎপাদনের মাত্র ৩০ শতাংশ। খরিফ শস্যের উপরেই দামের নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে অনেকাংশে। তাই এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে পিঁয়াজের দাম। 


আরও পড়ুন - FSSAI Order: কার্বাইডে পাকানো আম খান ? বেশি খেলে কী হতে পারে জানাল খাদ্য সুরক্ষা দফতর


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।