চাণক্য নীতি:  চাণক্য সুপণ্ডিত, প্রকৃত শিক্ষক ছিলেন। আচার্য চাণক্যের বলে যাওয়া কথা যে আজও কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক তা চাণক্য নীতির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। জীবনে চলার পথে এই উপদেশগুলি মেনে চললে উপকার পাবেন। আসুন জেনে নিই….


কাজই পূজা

চাণক্য বলেছেন, কাজ থেকেই মানুষ সম্মান অর্জন করে। যদি সবার মধ্যে নিজেকে আলাদা করতে চান, তাহলে কতকগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চাণক্যের নীতি অনুসারে যে কোনও মানুষ তাঁর কাজের মাধ্যমে মানুষের শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা পেয়ে থাকেন। ফলে যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে ভালো গুণাবলী জাগ্রত করেন, তাকে সফল ব্যক্তি বলা হয়। যে ব্যক্তি সেদিকে মন দেয় না তাকে শুধু বোকা নয়, মূর্খ বলা হয়।

চাণক্য কতটা মহান শিক্ষক ছিলেন তা প্রায় সকলেই জানেন। আচার্য চাণক্য দক্ষ শিক্ষকের পাশাপাশি দক্ষ অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকও ছিলেন। চাণক্য জীবনে কখনও হাল ছেড়ে দেননি বা সম্পদের অভাবের জন্য আফশোষ করেননি। চাণক্য কখনও তাঁর আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল হতে দেননি। লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। তাঁর আচরণ ও দক্ষতার জন্য সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে চাণক্যকে ধরা হয়।

চাণক্যের নীতি অনুসারে কোনও ব্যক্তি যদি নতুন কিছু শেখা বা বোঝার জন্য প্রস্তুত না থাকেন তাহলে তাকে মূর্খ বলা হয়। চাণক্যের মতে, কোনও ব্যক্তি যদি জীবনে সফল হতে চান, তবে তাঁকে নতুন কিছু শিখতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

নিজের প্রশংসা শোনার অভ্যাস ত্যাগ করুন

চাণক্যের মতে,  যে ব্যক্তি সর্বদা প্রশংসা শোনার জন্য কাজ করেন, তিনি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোনও ব্যক্তিকে তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু যে মানুষ সকলের ভালোর জন্য বা মানব কল্যাণের কথা ভেবে কাজ করেন, সেই সব ব্যক্তিরা আসলে সম্মান পান।

অন্যকে কম শক্তিশালী ভাববেন না

চাণক্যের নীতি অনুযায়ী যেসব ব্যক্তি অন্যকে দুর্বল বা অজ্ঞ মনে করেন তারা লোকের কাছে হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন। প্রত্যেক ব্যক্তির কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। ফলে অন্যকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত। কিন্তু যে ব্যক্তি সবসময় নিজেকে মেধাবী, প্রতিভাবান মনে করেন তারা প্রকৃত সম্মান থেকে বঞ্চিত হন।