স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের অনেকেরই দিন শুরু হয় এক চামচ চ্যবনপ্রাশ দিয়ে। বহু মা-বাবাও বাড়ন্ত বয়সের সন্তানকে রোজ চ্যবনপ্রাশ খাওয়ান। মনে করা হয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ এই জিনিসটি বহু আয়ুর্বেদিক গুণে ঠাসা। সেই সঙ্গে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তবে অনেকেই ভুলে যান, এটিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা পদার্থ। সবার জন্য এই চ্যবনপ্রাশ তাই অনেকের জন্যই উপযুক্ত নাও হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চ্যবনপ্রাশ মারাত্মক হতে পারে।
চ্যবনপ্রাশ কি নিরাপদ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত চিকিৎসক সিরিয়াক অ্যাবি ফিলিপস চ্যবনপ্রাশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মিথটি ভেঙে দিয়েছেন। তিনি বলেন, চ্যবনপ্রাশ আপনার জন্য যতটা ভাল ভাবছেন, ততটা ভালো নাও হতে পারে । হেপাটোলজিস্ট বলেন চ্যবনপ্রাস নিঃসন্দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে চ্যবনপ্রাশ কি নিরাপদ? জেনে নিন।
ইনস্টাগ্রামে চ্যবনপ্রাশ নিয়ে কী বলেছেন চিকিৎসক ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্য লিভার ডক নামে পরিচিত এই হেপাটোলজিস্ট ইনস্টাগ্রামে চ্যবনপ্রাশ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, অনেকেই ছোটবেলায় প্রচুর চ্যবনপ্রাশ খেয়ে থাকেন। তবে এটি রক্তে IGG-র মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয়। এতে থাকা বিভিন্ন ভেষজ ক্রমাগতভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই হাইপার-স্টিমুলেশন স হাইপার-আইজিজি সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। এই সমস্যা অনেক অসুখের আশঙ্কা বাড়ায়।
যারা চ্যবনপ্রাশ গ্রহণ করেন .....
ডঃ ফিলিপস আরও বলেন, যারা চ্যবনপ্রাশ গ্রহণ করেন, তাদের রক্তে IGGর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় । চ্যবনপ্রাশ একটি অত্যন্ত জটিল ফর্মুলেশন, যার মধ্যে একাধিক ভেষজ রয়েছে এবং এই ভেষজগুলির অনেকেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রবল। এর ফলে কী হয় – মানুষের মধ্যে হাইপার আইজিজি সিনড্রোম নামে রোগ তৈরি হয়, যা ব্যক্তিকে লুপাস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো বিভিন্ন অটোইমিউন ব্যাধি, মাল্টিপল মায়লোমার মতো কিছু ক্যান্সার এবং দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডঃ ফিলিপস সতর্ক করে দেন, এতে উচ্চ পরিমাণে চিনি রয়েছে। আর ন্যাচারাল সুগার মানেই কিন্তু নিরাপদ নয়। যে চ্যবনপ্রাশে প্রচুর পরিমাণে চিনি রয়েছে, তা আপনার শিশুর জন্য ভালো নয় এবং প্রাকৃতিকও নয়।"