ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার (Rising Temperature) জেরে এবার মাটির উপরেও বাড়তে পারে ওজনের গ্যাসের পরিমাণ (Ozone Level Rise)। ২০৫০ সাল নাগাদ গোটা পৃথিবীর এমন দশাই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে সেই তথ্য। গবেষকদের কথায়, ওজোন স্তরের বৃদ্ধির কারণে ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের (Respiratory Disease) আশঙ্কা বাড়ছে। এছাড়াও প্রদাহ তৈরি হচ্ছে শ্বাসনালির বিভিন্ন অংশে।


ভাল ওজোনের মন্দ দিক


নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ছাত্র জেমস ইস্ট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) ফলে ওজোনের ফর্মুলাগত পরিবর্তন হচ্ছে। যেসব জায়গার উষ্ণতা বেশি, সেইসব জায়গায় ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বাড়তে দেখা গিয়েছে।  সাধারণত ওজোন গ্যাস সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে প্রতিহত করে। কিন্তু একইসঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে এই গ্যাস। পৃথিবীপৃষ্ঠের অনেকটা উপরে থাকে ওজোন গ্যাস। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন তাকে নামিয়ে আনছে নিচে। মানুষের বসবাসের গণ্ডিতে। যার ফলে বেশ কিছু রোগের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।


বায়ুদূষণের কারণ ওজোন


ওজোন গ্যাস পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকলে বায়ুদূষণের কারণ হতে পারে। কারণ এই গ্যাস বিভিন্ন  ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। পাশাপাশি এই নাইট্রোজেনের সঙ্গেও বিক্রিয়া করে ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি করে ওজোন গ্যাস। 


কীভাবে তৈরি হয় এই বিষাক্ত যৌগ ?


ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ড বিভিন্ন কঠিন ও তরল দ্রব্য থেকে গ্যাস হিসেবে নিঃসৃত হয়। ঘর রং করার দ্রব্য, ফার্নিচার দ্রব্য, ইমারত গড়ার উপকরণ থেকে এই ধরনের যৌগ নিঃসরণ হয়। এই ধরনের উপকরণের পরিমাণ বেড়ে গেলে স্বাস্থ্যের উপর স্বল্পস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে বিভিন্ন জ্বালানি পোড়ানো হলে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গত হয়। 


ভারত কতটা ঝুঁকিতে ?


আর্থস ফিউচার জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। ওই গবেষকদের মতে, পৃথিবীর যেসব স্থানে ইতিমধ্যেই দূষিত বায়ুর পরিমাণ বেশি, সেসব স্থানে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পার্বত্য এলাকা বাদে ভারতের বেশিরভাগ এলকায় বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (Air Quality Index) হিসেবে কলকাতা (Kolkata), দিল্লির মতো শহরগুলি দূষিত বায়ুর জন্য প্রায়ই খবরে আসে। স্বভাবতই ভারতের বিভিন্ন শহর এলাকায় ওজোন গ্যাসের পরিমাণও বাড়বে। যার জেরে ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। যার প্রাথমিক শিকার হবে শিশু ও বয়স্করা। এমনটাই আশঙ্কা চিকিৎসকদের।


আরও পড়ুন - World Food Safety Day: খাদ্যের সুরক্ষা আসলে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা, রোজকার কোন কোন ভুল আর নয় ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।